ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ-শ্রীলংকা সফরে রান খরা। এরপর বিশ্রাম-বিরতি কাটিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল দিয়ে ক্রিকেটে ফেরা বাংলাদেশ ওপেনার তামিম ইকবালের। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ায় ক্রিকেট অঙ্গনে হাহাকার। তামিমের ব্যাটে কি রান ফিরবে না আর। চাপা প্রশ্ন।
সেই তামিম বিপিএলের সপ্তম আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই ফিরলেন। খেললেন ৫৩ বলে ৭৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। কিন্তু ব্যাট হাতে লংকান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা ছোট এক ঝড় দেখিয়ে এবং পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে তামিমের আলো কেড়ে নিলেন। দলকে ২০ রানে জিতিয়ে হয়ে গেলেন ম্যাচ সেরা।
টস হেরে ঢাকা প্লাটুনকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ইনিংসের প্রথম বলেই ফিরে যান এনমুল হক বিজয়। এরপর মেহেদি হাসান। তবে তামিম ইকবাল এবং লাউরি ইভান্স মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। ইভান্স ফিরে যান ২৪ বলে ২৩ রান করে। একপাশে অবিচল থাকা তামিম চার ছক্কা ও ছয়টি চারে দারুণ এক ইনিংস খেলে আউট হন। তার সঙ্গে থাকা থিসারা পেরেরা সাত চার ও এক ছক্কায় ১৭ বলে ৪২ করে অপরাজিত থাকেন। দলের সংগ্রহ হয় ৭ উইকেটে ১৮০।
ব্যাটে নেমে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা সেট হয়ে ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ভানুকা রাজাপাকশে ১২ বলে ২৭ রান করেন। তবে ওপেনার ইয়াসির আলী এ ম্যাচেও ব্যর্থ হন। করেন ৩ রান। তিনে নেমে সৌম্য খেলেন ২৬ বলে ৩৫ রানের ইনিংস। প্রথম ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও সেট হয়ে আউট হন তিনি। পরে ব্যাট করে ডেভিড ম্যালান ফিরে যান ৪০ রান করে। তরুণ ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম আকন করেন ৩৭ রান।
দলের এই চার ব্যাটসম্যান ছোট ছোট রান করেন। আর কেউ দশের ঘরেই আসতে পারেননি। কুমিল্লা তাই ৯ উইকেটে ১৬০ করে থামে। ঢাকার হয়ে অধিনায়ক মাশরাফি ৩ ওভারে ২৭ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। মাহিদুল ইসলাম নেন এক উইকেট। ওয়াহাব রিয়াজ ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। আর থিসারা পেরেরা ৪ ওভারে খরচা করেন ৩০ রান। উইকেট নেন পাঁচটি। কুমিল্লার শেষ পাঁচটি উইকেটই দখল করেন তিনি।