বঙ্গবন্ধু বিপিএলে প্রথম সপ্তাহ পার হয়েছে মাত্র। এরই মধ্যে কারা ভালো ফর্মে আছেন, ছন্দে আছেন তার একটা ধারণা পাওয়া গেছে। বিপিএলের এই প্রথম সপ্তাহ বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজের জন্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের সেরা ফর্মটা দেখাতে পারছেন না তিনি। বিপিএলে ফর্মে ফিরতে হতো তাকে। আর বিপিএলে ছন্দে ফিরলে আবার হয়তো ডাক পেতেন আইপিএলে।
কিন্তু ফর্মহীন মুস্তাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার আইপিএলের ১৩তম আসরের নিলামে কোন দল পেলেন না। নিলামে তার নাম উঠলেও অবিক্রীত থেকে যান তিনি। তার ভিত্তি মূল্য ছিল এক কোটি রুপি। কিন্তু নিলামে যুদ্ধ তো দূরের কথা তার ভিত্তি মূল্যেই তাকে দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি কেউ।
এর আগে ২০১৬ সালের আইপিএলে প্রথম খেলতে যান মুস্তাফিজ। ২০১৫ সালেই প্রথম জাতীয় দলে আসেন তিনি। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভারতকে সিরিজ হারায় বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ ডাক পান আইপিএলে। ওই মৌসুমে হায়দরাবাদে খেলে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে অবদান রাখেন। হন আইপিএলের তরুণ উদীয়মান ক্রিকেটার। কিন্তু পরের মৌসুমে ইনজুরির কারণে হায়দরাবাদের দলে থাকলেও খেলতে পারেন এক ম্যাচ।
২০১৮ সালের মৌসুমে মুম্বাইয়ের হয়ে সাত ম্যাচ খেললেও সেরা ছন্দে ছিলেন না ফিজ। পরের বছর ইনজুরির কারণে বিসিবি ফিজকে আইপিএলে খেলার ছাড়পত্র দেয়নি। এবার তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানান বিসিবি’র ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান আকরাম খান। কিন্তু কলকাতার আইটিসি রয়েল বেঙ্গল হোটেলে অনুষ্ঠিত নিলামের প্রথম ডাকে তাকে দলে নেয়নি কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি।
আইপিএল নিলামে দল পাননি মুশফিক
মুশফিকুর রহিম দারুণ ফর্মে আছেন। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৯৬ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ভারতের মাটিতে জয় পাওয়া টি-২০ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৬০ রানের ইনিংস। এছাড়া টেস্টে ব্যর্থ হলেও ভারতের শক্ত বোলিং লাইন আপের বিপক্ষে ১৮১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। কলকাতা তার প্রতি আগ্রহী বলে শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত দল পেলেন না তিনি।
এবারের আসরে আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজির শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ৭৩টি। এর মধ্যে বিদেশিদের জন্য ফাঁকা ২৯টি জায়গা। তবে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি চাইলে নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরেও খেলোয়াড় কিনতে পারবে। মুশফিকের সম্ভাবনা তাই বেড়ে যায়। নিলামে মুশফিকের ভিত্তিমূল্য ধরা হয় ৭৫ লাখ রুপি। একই ক্যাটাগরিতে আছেন মাহমুদুল্লাহও।
এর আগে আইপিএল নিলামে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল প্রথম ১০ কোটি রুপির কোটা ছাড়ান। তাকে ছাড়িয়ে অজি পেসার প্যাট কামিন্সকে সাড়ে ১৫ কোটিতে দলে ভেড়ায় কলকাতা। আইপিএল ইতিহাসে কামিন্স হলেন সবচেয়ে দামি বিদেশি ক্রিকেটার।
এর আগে ভিত্তি মূল্যের চারগুন দামে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে এবং টি-২০ অধিনায়ক অ্যারণ ফিঞ্চকে দলে নিয়েছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তার মূল্য ছিল এক কোটি রুপি। বেঙ্গালুরু তাকে দলে নিয়েছে চার কোটি ৪০ লাখ রুপিতে।
তার আগে জেমন রয়কে দেড় কোটি রুপিতে দলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে প্রথম নিলামে ভারতের টেস্ট দলের দুই ক্রিকেটার হানুমা বিহারি এবং চেতেশ্বর পূজারা দল পাননি। ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক ইয়ন মরগানকে ৫ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে দলে ভিড়িয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তার ভিত্তি মূল্য ছিল দেড় কোটি রুপি।