ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ গুরুতর আহত পাঁচজনই শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাদের চিকিৎসায় হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রাজিউল হকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডে বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের যুক্ত করা হয়েছে। সোমবার ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
পরিচালক বলেন, গুরুতর আহত তুহিন ফারাবির শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা থাকায় রোববার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল। এখন সে আগের তুলনায় অনেক ভালোভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছে। সোমবার তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য চারজনও এখন শঙ্কামুক্ত।
নাসির উদ্দিন বলেন, আহত সবার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্নিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা আহতদের সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গুরুতর কিছু পাননি। মঙ্গলবার দু’জনকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনে হামলায় ভিপি নুরুল হক নুরসহ ১৭ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ভিপি নুরসহ পাঁচজনকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত নুর, আমিনুল, সোহেল ও ফারুককে জরুরি বিভাগের অবজারভেশন রুমে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তুহিন ফারাবির শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সোমবার ফারাবি ছাড়া অন্যদের কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ভিপি নুর ডান হাতে, আমিনুল ও সোহেল চোখে, ফারুক শরীর ও কানে আঘাত পেয়েছেন। আহতদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে ভিপি নুর বলেন, শরীরের ডানদিকে তিনি আঘাত পেয়েছেন। অন্যদেরও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে।
নুর অভিযোগ করেন, হত্যার উদ্দেশ্যে তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তার ছোট ভাইয়েরা না থাকলে বেঁচে থাকতে পারতেন না।