পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে আছে সিলেট থান্ডার্স এবং রংপুর রেঞ্জার্স। কাগজে-কলমে সেরা চারে ওঠার সুযোগ তাদের আছে। কিন্তু শুরু থেকে হারে লড়াই থেকে এই দুই দল একপ্রকার ছিটকে গেছে।
সোমবার দিনের প্রথম ম্যাচের লড়াইটা ছিল পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে থাকা দুই দলের। দুই দলই এবারের মৌসুমে একটি করে ম্যাচ জিতেছিল। তবে সিলেটের বিপক্ষে মুস্তাফিজের বোলিং এবং ক্যামেরুন দেলপোর্টের ব্যাটিং ঝলকে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে রংপুর। এবারের আসরে এটি তাদের সপ্তম ম্যাচে দ্বিতীয় জয়। ওদিকে সিলেট আট ম্যাচের সাতটিতে হারের স্বাদ নিয়ে নেমে গেছে সবার নিচে।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের আক্ষেপের নাম হয়ে ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও ঝলক দেখা যায়নি তার বোলিংয়ে। মুস্তাফিজ ভালো না করার হয়তো তার দল রংপুর রেঞ্জার্সও হারে। পয়েন্ট টেবিলে পড়ে যায় নিচে। তাদের দলের সেরা তারকা বলতে মোহাম্মদ নবী-মুস্তাফিজই। তবে বিপিএলের তৃতীয় পর্বে এসে সিলেট থান্ডার্সের বিপক্ষে ঝলক দেখালেন ফিজ।
পুরনো সেই ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন। ঢাকায় একদিন বিরতি দিয়ে হওয়া ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে মুস্তাফিজ ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে দিয়েছেন মাত্র ১০ রান। উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনটি। তার বোলিং দেখে মনে হয়েছে ২০১৫ সালের সেই মুস্তাফিজ। বলে ডট দেওয়া, ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করা এবং আউট হতে বাধ্য করা সেই মুস্তাফিজ। বাঁ-হাতি এই কাটার মাস্টার ২৪ বলের মধ্যে ডট বলই দিয়েছেন ১৯টি। বাউন্ডারি খেয়েছেন মাত্র একটি।
তার বোলিং তোপে সিলেট থামে ৯ উইকেটে ১৩৩ রানে। জবাব দিতে নেমে রংপুর দেলপোর্তের ২৮ বলে ৬৩ রানের সুবাদে সহজে জয়ের বন্দরে পৌছে যায়। দেলপোর্ত পাঁচটি ছক্কা ও ছয়টি চার মারেন। নাঈম শেখ এক পাশ আগলে রেখে ৫০ বলে হার না মানা ৩৮ রান করেন। দুটি করে ছক্কা ও চার মারেন তিনি।