শেষ বলের জয়ে টিকে থাকল কুমিল্লা

comilla-bpl-311219-06

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলে চার দলের রাজত্ব চলছে। অন্য তিন দল বেশ পিছিয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স সবার ওপরে আছে। সমান পয়েন্ট নিয়ে পরের তিনটি জায়গা যথাক্রমে খুলনা টাইগার্স, ঢাকা প্লাটুন এবং রাজশাহী রয়্যালসের। কুমিল্লার বিপক্ষে মঙ্গলবার দিনের প্রথম ম্যাচে জয় পেলেই শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যেত চট্টগ্রামের। পয়েন্ট টেবিলের মারপ্যাচ থাকালেও একপ্রকার বিদায় নিতে হতো কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের।

অপেক্ষা তখন শেষ বলের। প্রয়োজন ৩ রান। দাভিদ মালান রান আউট হওয়ার পর উইকেটে যাচ্ছিলেন সানজামুল ইসলাম। কিন্তু মাঠে ঢোকার পরও ফিরিয়ে আনা হলো তাকে, পাঠানো হলো মুজিব-উর-রহমানকে। শেষ বলটি লিয়াম প্লাঙ্কেট করলেন ফুল টস। মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে মুজিবই কুমিল্লাকে এনে দিলেন রোমাঞ্চকর জয়।

 ——————————————————————————————————————————————————————-

রাজশাহী রয়্যালসকে উড়িয়ে দিল রংপুর রেঞ্জার্স

শুরুতে ঝড় তুলে ফিফটি করলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। পরে আঁটসাঁট বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ছন্দে ফেরার আভাস দিয়ে চার উইকেট নিলেন তাসকিন আহমেদ। তিন তরুণের নৈপুণ্যে রাজশাহী রয়্যালসকে উড়িয়ে দিল রংপুর রেঞ্জার্স।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার বছরের সবশেষ ম্যাচে ৪৭ রানে জেতে রংপুর। ১৮২ রান তাড়ায় রাজশাহী ৮ উইকেটে করে ১৩৫।

আঁটসাঁট বোলিং করেন রংপুরের প্রায় সব বোলার। উইকেট নিয়ে চাপ আরও বাড়িয়ে দেওয়ার কাজটা করেন তাসকিন। দারুণ বোলিংয়ে যেন ফিরে আসার বার্তা দিলেন এই তরুণ। তিন ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকার পর এবার ২৯ রানে নিলেন ৪ উইকেট।

টানা চতুর্থ ম্যাচে দারুণ বল করলেন মুস্তাফিজ। একটি মেডেনসহ ৪ ওভারে দেন কেবল ১৬ রান।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নাঈমের ব্যাটে শুরুটা ভালো করে রংপুর। ইনিংসের প্রথম ওভারে মাত্র তিন বল করে মাঠ ছাড়েন রাজশাহী অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। পরে মাঠে ফিরলেও আর বল করেননি ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।

তাকে চার ও ছক্কা মেরে ডানা মেলেন নাঈম। তাইজুল ইসলামের বলে ক্যাচ হতে হতে ছক্কা পেয়ে যান শেন ওয়াটসন। তবে যেতে পারেননি বেশিদূর। আফিফ হোসেনের বলে শর্ট থার্ড ম্যানে কামরুল ইসলাম রাব্বির চমৎকার ক্যাচে ফিরেন রংপুর অধিনায়ক।

Pin It