ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনকে (ইভিএম) নিঃশব্দে ভোট ডাকাতির যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে এ ব্যবস্থা থেকে সরে আসার জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।
রবিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই সমগ্র বিশ্বের নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার কারণে বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ হিসেবে অভিযুক্ত হয়ে অনেক গণতান্ত্রিক দেশে যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, নুরুল হুদা কমিশন আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেই ইভিএম ব্যবহারের একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যে ধরনের সংলাপ, পরামর্শ, নিবিড় যোগাযোগ আবশ্যক তার কিছুই করেনি নির্বাচন কমিশন।
ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে ডিজিটাল কারচুপির নতুন ষড়যন্ত্র আখ্যায়িত করে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের বিধ্বস্ত নির্বাচনি ব্যবস্থার কফিনে শেষ পেরেক হিসেবে গণ্য হবে এই ইভিএম। বাংলাদেশে ইতোপূর্বে ইভিএম ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় যা প্রমাণিত।
ইভিএম সাম্প্রতিক বিশ্বে ব্যাপকভাবে সমালোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘প্রোগ্রামিং ভ্রান্তি, যান্ত্রিক ত্রুটি এবং বিদ্বেষাত্মক ট্যাম্পারিং বা কারসাজি, কম্পিউটারভিত্তিক ভোট প্রদান যন্ত্রের অন্তর্নিহিত দুর্বলতা, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ইভিএম নিয়ন্ত্রণের সুযোগ ও সম্ভবনা এবং নির্বাচন পরিচালনার সাথে সম্পৃক্তদের বিশেষ দলের পক্ষে নির্বাচনি ফলাফল পাইয়ে দেওয়ার সুযোগসহ নানা নেতিবাচক কাজ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়েছে। সুতরাং নাগরিক সমাজের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই এবং স্টেক হোল্ডারদের বিরোধিতা সত্বে ঢাকা সিটির সবকটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের একতরফা সিদ্ধান্তকে আমরা ডিজিটাল কারচুপির এক মহা ষড়যন্ত্র বলে মনে করি।’