প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সত্য ভাষণ বিএনপির গাত্রদাহের কারণ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা বলেছেন। তা বলার সৎ সাহস তার আছে। ভুলভ্রান্তি স্বীকার করার সৎ সাহসও তার আছে। যেখানে অপরাধ হয়েছে সেখানে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের বর্ষপূর্তিতে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, জাতির প্রত্যাশা ছিল প্রধানমন্ত্রী নতুন নির্বাচনের লক্ষ্যে সংলাপের কথা বলবেন। তা না হওয়ায় জাতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
এ প্রতিক্রিয়ার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যা বলা প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী ভাষণে তাই বলেছেন। যেমন তিনি দুর্নীতি নিয়ে বলেছেন। সারা দুনিয়ায় দুর্নীতি আছে, বাংলাদেশেও আছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন। তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন, মানুষের হক কেউ যেন কেড়ে নিতে না পারে। তা তিনি বাস্তবায়ন করেছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুখরোচক প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করেন না। তার প্রধান লক্ষ্য তরুণদের কর্মসংস্থান। এ লক্ষ্য পূরণে তিনি কাজ করছেন। দেড় কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ আমলে অপরাধ করে কেউ পার পায় না বলে দাবি করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ধর্ষককে ধরা হয়েছে।
চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর মেট্রোরেল চালুর প্রতিশ্রুতি ছিল সরকারের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের জুনে চালু হবে মেট্রোরেল। তবে পুনর্নির্ধারিত সময়েও তা চালু হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
এ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঠিকাদার ও প্রকৌশলীদের কথা বলেই সময় বাড়ানো হয়েছে। তারা লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেননি, এমন কোনো রেকর্ড নেই।