চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনিবার্চনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ঘোষিত ১৬০টি কেন্দ্রের ফলাফলে মোছলেম উদ্দিন পেয়েছেন ৮৩ হাজার ৫৮৩ ভোট। বিপরীতে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৬৩ ভোট।
সোমবার অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে দেখা যায়, মোছলেম নৌকা প্রতীকে ৮৭ হাজার ২৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবু সুফিয়ান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৩৫ ভোট। তবে তিনি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনঃভোটের দাবি তুলেছেন।
দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে রাতে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে স্থাপিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান।
তিনি জানান, সোমবারের উপনির্বাচনে এই আসনের ভোটারদের মধ্যে ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট দিয়েছেন।
বোয়ালখালী উপজেলা এবং নগরীর চান্দগাঁও ও বায়েজিদের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৫ জন। এর মধ্যে দুই লাখ ৪১ হাজার ১৯৮ জন পুরুষ, দুই লাখ ৩৩ হাজার ২৮৭ জন নারী।
এর মধ্যে বোয়ালখালী উপজেলায় ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৬৪ হাজার ১৩১, বাকি ভোটার চট্টগ্রাম মহানগরীর।
এই নির্বাচনে মোট ছয় প্রার্থী সম্মিলিতভাবে পেয়েছেন এক লাখ ৮ হাজার ৫৮১টি।
অন্য চার প্রার্থীর মধ্যে বিএনএফের এস এম আবুল কালাম আজাদ (টেলিভিশন) ১১৮৫ ভোট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ (চেয়ার) ৯৯২ ভোট, ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত (কুঁড়েঘর) ৬৫৬ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক (আপেল) ৫৬৭ ভোট পেয়েছেন।
১৭০টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। এর মধ্যে এক হাজার ১৯৬টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ হয় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে।
এই আসনে তিন বারের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ জাসদের নেতা মইনউদ্দিন খান বাদল গত ৭ নভেম্বর মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়। বাদল তাদের জোট শরিক আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট করতেন।
এবার নির্বাচনে বাংলাদেশ জাসদ আসনটি চাইলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেওয়ায় তারা পিছু হটে। ফলে নৌকা ও ধানের শীষের লড়াই হয়।
সোমবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর পর একটি কেন্দ্রের বাইরে হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটে।
নিজ কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার অভিযোগ করেন বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ান।
এরপর দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বেশিরভাগ কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্ট বের করে দেওয়া, কেন্দ্র দখল, বহিরাগত ছাত্রলীগ-যুবলীগ দিয়ে কেন্দ্র ঘিরে রাখা এবং গোপন বুথে ভোট নেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
নির্বাচন স্থগিত এবং পুনঃনির্বাচনের দাবি তিনি জানালেও বিকাল ৩টায় আবার সংবাদ সম্মেলন করে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার ঘোষণা দেন সুফিয়ান।