বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতল রাজশাহী রয়ালস। বিপিএলের সপ্তম আসরের ফাইনলে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭০ রান তুলে রাজশাহী। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান করে খুলনা। রাজশাহীর এই জয়ে বিপিএল পেল নতুন চ্যাম্পিয়ন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এদিন শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। রানের খাতা খোলার আগেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত। এরপর বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি আরেক ওপেনার মেহেদি হাসান। ৪ বল খেলে নামে পাশে ২ রান তুলে তিনিও ফিরেন সাজঘরে।
তবে খুলনার এমন হালে মাঠে তখন হাল ধরেন শামসুর রহমান ও রুশো। রুশো ২৬ বলে ৩৭ রান তুলে ক্যাচ আউট হন। দলীয় ১০১ রানের মাথায় আউট হন শামসুর রহমান। ততক্ষণে তিনি ৪৩ বলে করেন ৫২ রান। এরপর নজিবুল্লাহও ৪ রান যোগ করে সাজঘরে ফিরেন।
এরপর খুলনা দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহমান দলকে ক্ষণিক জয়ের আশা দেখালেও আন্দ্রে রাসেলের বলে বোল্ড হলে তা ধূসর হয়ে যায়। তবে দলটি শেষমেশ ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান তুলে।
খুলনার হয়ে কামরুল হাসান, আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ ইরফান ২ টি করে উইকেট তুলে নেন।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। রাজধানীর মিরপুর স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাচটি শুরু হয়।
ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ হোসেন। মোহাম্মদ আমিরের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে দলীয় ১৪ রানে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ফেরেন তিনি (১০)। উইকেটে থিতু হয়েও পারলেন না লিটন দাস। তাকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভেঙেছেন শহিদুল ইসলাম। লিটন ২৮ বলে ২৫ রান করেন।
ফ্রাইলিঙ্কের হাফ ভলি বল কভার ড্রাইভ করেছিলেন শোয়েব মালিক। ব্যাট-বলে টাইমিংও হয়েছিল ঠিকঠাক। কিন্তু গ্যাপ বের করতে পারেননি। ১৩ বলে ৯ রানে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মালিক। তার আউটের সময় রাজশাহীর রান ৩ উইকেটে ৯৪। ৩০ বলে দারুণ ফিফটি করেছিলেন ইরফান শুক্কুর। কিন্তু ৩৫ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রান করে ফাইন লেগে ক্যাচ দেন তিনি। তখন রাজশাহীর সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৯৯।
এর পর আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ খুলনার বোলারদের উপর চড়াও হন। তারা অবিচ্ছিন্ন দলীয় সংগ্রহকে ১৭০ রানে নিয়ে যান। রাসেল ১৬ বলে ২৭ ও নওয়াজ ২০ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। খুলনার হয়ে মোহম্মদ আমির ২ উইকেট নেন।