ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কারণে পিছিয়ে গেল ২০২০ সালের মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষাও। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরিবর্তিত সময়সূচি অনুসারে, এ পরীক্ষা ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক শনিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রাতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি তার বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একই তথ্য জানান। তিনি বলেন, পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি (রুটিন) শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে।
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে তত্ত্বীয় পরীক্ষা। এ বছর তিন হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেবে।
গত বছরের তুলনায় এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ৮৭ হাজার ৫৫৪ জন কমেছে। আগের মতো এ বছরও পরীক্ষা শুরু হওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। পরীক্ষা কেন্দ্রে কেউ মোবাইল ফোন নিতে পারবে না। শুধু কেন্দ্র সচিব সাধারণ মানের একটি মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে খুদে বার্তা পাঠিয়ে কোন সেটের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে, সেটি কেন্দ্র সচিবকে জানানো হবে। বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া সব বিষয়ের পরীক্ষাই হবে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে।
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এক মাস দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।