মেয়র নির্বাচিত হলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য গুলশান-বনানী এলাকার মতো সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।
সোমবার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডুমনি-পাতিরা এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগের সময় তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়ন কাজের বিষয়ে ফাইল খোলা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮টি ওয়ার্ডের রাস্তা প্রশস্ত করা, ফুটপাত, ড্রেন ও সড়ক বাতি স্থাপন করা হবে।
“চার হাজার ২০০ কোটি টাকার প্রকল্পের ফাইলের সব কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু একনেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরের অপেক্ষায় আছে। গুলশান বনানী এলাকার সড়কে যে রকম বাতি আছে। ডুমনির মতো এলাকায়ও সে রকম লাইট থাকবে। ঢাকা শহরে যে ধরনের রাস্তা দেখেছেন, ঠিক সে ধরনের রাস্তাই হবে এখানে। কারণ এই ঢাকা সবার। এই ঢাকা আপনাদের।”
আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ডেকে নিয়ে নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নে প্রকল্প নেওয়ার কথা বলেছিলেন।
“তিনি আমাকে বলেছিলেন, ইউনিয়নগুলো ভেঙে নতুন যে ১৮টি ওয়ার্ড হয়েছে সেগুলোর জন্য তুমি একটা মহাপরিকল্পনা নাও। আমি পরিকল্পনা নিয়ে গেলে তিনি বলেন, সড়কগুলো এত সরু রেখেছি কেন? আমি বললাম, সড়ক প্রশস্ত করতে হলে অনেক বেশি টাকা লাগবে। তিনি বলেছেন, যত টাকাই লাগুক সড়ক প্রশস্ত করতে হবে।”
নতুন ওয়ার্ডগুলোর কোথায় খেলার মাঠ, পার্ক, কমিউনিটি সেন্টারসহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজ হবে সে পরিকল্পনা হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এখন শুধু বাস্তবায়নের অপেক্ষা। নৌকাকে নির্বাচিত করেন, কথা দিতে পারি আগামী ছয় মাসে অত্র এলাকার উন্নয়নের কাজ শুরু করতে পারব। এই এলাকার কোথায় কী হবে সে পরিকল্পনা হয়ে গেছে। এখন তা বাস্তবায়নের সময় এসেছে। আমি আপনাদের কাছে ভোট ভিক্ষা চাইতে এসেছি, তার বদলে আপনাদের একটি আধুনিক ওয়ার্ড উপহার দেব।”
এ সময় ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর জন্য ভোট চান আতিকুল ইসলাম।
এর আগে খিলক্ষেত রেলক্রসিং এলাকা থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন নৌকার প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। সেখান থেকে বরুয়া, মস্তুল, ঢেলনা, তলনা, পাতিরা ও ডুমনি এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছিলেন।