বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বিশেষ

image-124429-1579620096

ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বিশেষ। এই সম্পর্ক আরও জোরদারে ভারত সব সময় অগ্রাধিকার দেয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশকে আর্থ সামাজিকভাবে আরও শক্তিশালী দেখতে চায় ভারত। মঙ্গলবার নয়াদিল্লীর রাষ্ট্রপতি ভবনে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরানের পরিচয়পত্র পেশকালে রাষ্ট্রপতি এ কথা করেন।

নিরাপত্তা, সংযোগ এবং মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ সকল ক্ষেত্রে দুই দেশের আরও সহযোগিতা বাড়ানোর আশা ব্যক্ত করে ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী যৌথভাবে উদযাপনে বাংলাদেশের অংশীদার হতে পেরে ভারত খুশি।

এ সময় ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার প্রয়াত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর কথা স্মরণ করেন। মোয়াজ্জেম আলীকে তিনি ভারতের ভালো বন্ধু ও প্রকৃত দেশপ্রেমিক বাংলাদেশি বলে মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের প্রতি তার শুভেচ্ছা জানান। এ সময় হাইকমিশনার ইমরান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন।

হাই কমিশনার বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে ভারত সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত প্রসারিত করায় বাংলাদেশ ভারতের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রকৃতপক্ষে দুই দেশের সহযোগিতার সম্পর্ক মুক্তিযুদ্ধের সময়ই শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্ক বর্তমানে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই সম্পর্ককে প্রতিবেশী সম্পর্কের মডেল বলা হচ্ছে। দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ ভারতীয় নেতাদের অংশগ্রহণ আশা করছে বাংলাদেশ।

রাষ্ট্রপতি ভবনে এক বর্ণিল অনুষ্ঠানে পরিচয়পত্র পেশ করেন হাইকমিশনার ইমরান। এ সময় তার স্ত্রী ডা. জাকিয়া হাসনাত ইমরান ও হাইকমিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পেশাদার কূটনীতিক মুহাম্মদ ইমরান সাবেক হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। পাঁচ বছর ভারতের বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোয়াজ্জেম আলী সম্প্রতি মারা গেছেন।

মুহাম্মদ ইমরান এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) রাষ্ট্রদূত। ১৯৮৬ বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা ইমরান এর আগে কলকাতায় ডেপুটি হাই কমিশনার ছাড়াও জেদ্দা, বন, বার্লিন এবং অটোয়ায় বাংলাদেশ মিশনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। উজবেকিস্তানেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করা এই কর্মকর্তা।

Pin It