প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ সংসদকে জানিয়েছেন, দেশের ৯ লাখেরও বেশি নারী কর্মী বিভিন্ন পেশায় কাজ নিয়ে বিদেশ গেছেন। মঙ্গলবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে বিকেল সোয়া ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে বিষয়টি উত্থাপিত হয়। সরকারি দলের আবুল কালাম আজাদের প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমদ জানান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৯ লাখ ২ হাজার ৪৮২ নারী কর্মী বিভিন্ন পেশায় বিদেশ গেছেন। তিনি বলেন, সৌদি আরব বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। গত ২৭ নভেম্বর জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির সভায় নারী শ্রমিকদের সুরক্ষার বিষয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বিদেশগামী নারী কর্মীদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া তদারকের মাধ্যমে অধিকতর সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর ছয় সদস্যবিশিষ্ট ‘বিদেশগামী নারী কর্মী সুরক্ষা সেল’ গঠন করা হয়েছে।
বিএনপির জিএম সিরাজের প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ১৭৩ দেশে কর্মী পাঠানো হচ্ছে। তার দেওয়া তথ্যমতে, সৌদিতে কর্মী পাঠানো বাড়লেও মধ্যপ্রাচ্যের তিনটি দেশ কাতার, কুয়েত ও বাহরাইনে ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে কর্মী পাঠানো কমেছে।
মন্ত্রী জানান, গত বছর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে তিন লাখ ৯৯ হাজার কর্মী পাঠানো হয়। ২০১৮ সালে পাঠানো হয়েছিল দুই লাখ ৫৭ হাজার ৩১৭ জন। কাতারে গত বছর ৫০ হাজার ২৯২ জন কর্মী পাঠানো হয়। ২০১৮ সালে কাতারে পাঠানো হয়েছিল ৭৬ হাজার ৫৬০ জন। ২০১৯ সালে কুয়েতে ১২ হাজার ২৯৯ জন কর্মী পাঠানো হয়। আগের বছর কুয়েতে পাঠানো হয়েছিল ২৭ হাজার ৬৩৭ জন। বাহরাইনে গত বছর ১৩৩ কর্মী পাঠানো হয়েছে।