দোষটা কি তামিম-নাঈমকে দিলেন মাহমুদুল্লাহ ?

Tamim-Pak-samakal-samakal-সমকাল-5e2af0f0b33db

পাকিস্তান সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবে এ নিয়ে সংশয় ছিল না কারও মনে। তারপরও তো মুশফিক গেলেন না! কারণ মাথার ওপর শঙ্কার একটা কালো মেঘ ছিলই। সেটা অনেকটা মানসিক।

ওই মেঘ সরিয়ে ভালো খেলার আলাদা তাগাদা ছিল বাংলাদেশ দলের। চোখ ছিল জয়ে। কিন্তু ব্যাটে-বলে ভালো শুরু পেয়েও পরাজিত দলে বাংলাদেশ। অল্প রানের পুঁজিতে শেষ ওভারের এই হারে বোলারদের দোষ খোঁজা বৃথা। তবে ফিল্ডিং এবং ব্যাটিংয়ে সেরাটা দিতে পারেনি বাংলাদেশ। এটা বুঝতে সাদা চোখই যথেষ্ট।

ক্রিকেটীয় দৃষ্টিতে মাহমুদুল্লাহ ম্যাচটাকে ভালো প্রতিযোগিতা বলছেন। কিন্তু তার মনে আক্ষেপ আছে ভালো রান করতে না পারার। আক্ষেপ আছে ভালো ফিল্ডিং দিতে না পারার। উইকেট-কন্ডিশনের কথা বলে কিছু দায় দুই ওপেনারের ওপরও কী চাপালেন মাহমুদুল্লাহ?

না চাপানোর কারণ নেই। শুরুর দু্ই ওপেনার উইকেটে জমে থেকেও ১১ ওভারে তোলেন ৭১ রান। ম্যাচ শেষে মাহমুদুল্লাহ তাই বলেন, ‘উইকেট আমাকে কিছুটা বিস্মিত করেছে। বল পুরনো এবং নরম হয়ে যাওয়ায় শট খেলা বেশ কঠিন হয়ে যায়। আমাদের ১৫ রান কম হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’

মোহাম্মদ রিজওয়ানের শটে মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ, কিন্তু মোহাম্মদ মিঠুন পারলেন না হাতে জমাতে। ওই শটেই দুই রান নিয়ে জিতে গেল পাকিস্তান। ম্যাচের শেষটা বাংলাদেশের জন্য হয়ে রইল যেন প্রতীকী। ব্যাটিং-বোলিংয়ে বাংলাদেশ ক্ষেত্র তৈরি করে দারুণ কিছুর, কিন্তু বারবার নিজেরাই ফসকে ফেলেছে সুযোগ। পাকিস্তান সিরিজ শুরু করেছে জয়ে।

Pin It