চট্টগ্রাম বন্দরে মাশরুমের কনটেইনারে দেড় কোটি টাকার সিগারেট

ccc-samakal-সমকাল-5e2de87009a2b

চট্টগ্রাম বন্দরে গোপনে সিগারেটের বড় একটি চালনা খালাসের চেষ্টা করে শেষ রক্ষা হয়নি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খায়ের ব্রাদার্সের। রোববার এক কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার শলাকার সিগারেটের বড় চালানটি আটক করা হয়।

রোববার ছিল আন্তর্জাতিক কাস্টম দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনের জন্য সকাল থেকেই ব্যস্ত থাকেন কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চালানটি খালাসের চেষ্টা করে খায়ের ব্রাদার্স। পরে বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে (এনসিটি) বিদেশি সিগারেটের কনটেইনারটি আটক করেন কাস্টমস গোয়েন্দা সংস্থা অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) সদস্যরা। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে।

৪০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনারটি জরুরিভিত্তিতে খুলে দেখা যায়, সেখানে সব বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেট। মাশরুম ঘোষণার আড়ালে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি সিগারেটের চালানটি বন্দর থেকে বের করার চেষ্টা করেছিল।

বন্দর ও কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের আমদানিকারক ‘বাংলা ভিনা এন্টারপ্রাইজ’ ঘোষণা দিয়েছিল মাশরুম আমদানি করা হয়েছে। তবে তল্লাশি করলে পুরো কনটেইনার থেকে পাওয়া যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর কর্মকর্তা নুর এ হাসনা সানজিদা জানান, চালানটি খালাস হয়ে যাওয়ার তথ্য আগেই পেয়েছিলাম। এ কারণে সতর্ক ছিলেন সবাই। চালানটি লক করা হয়েছিল, যাতে কেউ খালাস নিতে না পারে। চালানটি আটকের পর সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তারা পালিয়ে গেছেন। এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

Pin It