ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ বাড়তে থাকার জন্য ফিলিস্তিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা একে অপরকে দোষারোপ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশের পর থেকেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সহিংসতা বাড়ছে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের ক্ষোভে উত্তপ্ত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে ২ ফিলিস্তিনি নিহত এবং জেরুজালেমে হামলায় ১৬ ইসরায়েলি আহতের ঘটনার পর ওই অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শুক্রবার পশ্চিম তীরে নিহতদের শেষকৃত্যে জড়ো হয়েছে ফিলিস্তিনিরা। ওদিকে,ইসরায়েল জুমার নামাজের আগে নিরাপত্তায় কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে তার শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এরপর ছড়িয়ে পড়া অস্থিরতার জন্য ওয়াশিংটনই দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন ফিলিস্তিনি শান্তি আলোচক সায়েব ইরাকাত।
তিনি বলেন, “যারা জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা প্রবর্তন করে এবং দখলদারিত্ব ও বসতিস্থাপনকে বৈধতা দেয়, তারা প্রকৃতপক্ষেই সহিংসতা ও পাল্টা সহিংসতার ঘনঘোর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য দায়ী।”
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সত্যিকারের একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যাবেন বলে জানান ইরাকাত।
ওদিকে, সহিংসতার জন্য ফিলিস্তিনকে পাল্টা দোষারোপ করেছেন ট্রাম্পের ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার। তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার হোতা। যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা থেকে ফিলিস্তিনিদের মুখ ফিরিয়ে রাখার অভিযোগ কুশনার বরাবরই করে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাষ্ট্রদূতদের সামনে এক ব্রিফিংয়ের পর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টকে দোষারোপ করে কুশনার বলেন, “আমি মনে করি এ দায় তার। তিনি (শান্তি পরিকল্পনার) জবাবে ক্ষোভ দিবস ডেকেছেন এবং পরিকল্পনাটি দেখার আগেই ওইসব কথা বলছেন।”
ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনাটি ইসরায়েল ঘেঁষা।এ পরিকল্পনায় অধিকৃত অঞ্চলের ইহুদি বসতি বাদ দিয়ে এবং প্রায় পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণের অধীনে একটি অসামরিক ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ার কথা বলা হয়েছে। ফিলিস্তিনিরাসহ আরব লিগ এবং ওআইসি এরই মধ্যে পরিকল্পনাটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্টতার কারণে ফিলিস্তিনিরা ট্রাম্প প্রশাসনকে বয়কট করেছে। ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনাটি ফিলিস্তিনিদের দাবি এবং অধিকার মেটাতে সহায়ক নয় বলেই অভিযোগ তাদের।
তবে ওয়াশিংটনের ভাষ্য, ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনাটিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ার একটি পথ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অথচ ফিলিস্তিনি নেতারা অযথাই অবাস্তব সব দাবি তুলে এ পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করছেন।