থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উত্তরপূর্বে নাখন রাৎচসিমা শহরে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ২৬ জনকে হত্যা করা সেনাসদস্য দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। থাই পুলিশের বরাত দিয়ে রোববার সকালে বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাক্রাফন্থ থম্মা নামের ওই সেনা সদস্য শনিবার একটি সামরিক ক্যাম্পে এক জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার পর তার অস্ত্র চুরি করে প্রথমে নাখন রাৎচসিমা শহরের রাস্তায় এবং পরে একটি শপিংমলে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ২৬ জন নিহত ও ৫৭ জন আহত হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে ওই ভবনে সারারাত কোনঠাসা হয়ে থাকার পর নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে ওই সেনাসদস্য নিহত হন। তবে ওই সেনাসদস্য কেন এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন তা এখনও পরিষ্কার নয়।
সেনা সদস্য জাক্রাফন্থ থম্মার এলোপাতাড়ি গুলিতে ২৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি রোববার নিশ্চিত করেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান-ওচা। এ ছাড়া ওই ঘটনায় ৫৭ জন আহত হয়ে বলেও জানান তিনি। এর আগে থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রাদেশিক কার্যালয়ের প্রধান নারিনরাত পিচাইয়াখামিন জানিয়েছিলেন, শনিবারের ঘটনায় ২০ জন নিহত ও ৪২ জন আহত হয়েছে।
থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কংচীপ তানত্রওয়ানিত বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা জানি না সে কেন এমন ঘটনা ঘটালো। মনে হচ্ছে- সে পাগল হয়ে গিয়েছিল।’
লোকজনের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালানো জাক্রাফন্থ থম্মা নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের গুলিতে নিহত হওয়ার পর দেশটির জনস্বাস্থ্য মন্ত্রী অনুতিন চর্ণবিরাকুল রোববার সকালে তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন, যেখানে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদেরকে তাদের কাজের জন্য অভিনন্দন জানান তিনি। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘পরিস্থিতির সমাপ্তি ঘটনোয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ। গুলি চালানো ব্যক্তি গুলিতে নিহত!!!’