৩য় বার কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি হচ্ছে বাংলাদেশ

20200209_19034520200209212514

৪৪তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা প্রাঙ্গণে রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) পালিত হলো বাংলাদেশ দিবস। আর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর প্রতি সম্মান জানিয়ে আগামী বছর কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি নির্ধারণ করা হয়েছে বাংলাদেশ। এই প্রথম কোনো দেশ বইমেলায় তৃতীয়বার থিম কান্ট্রি হতে চলেছে।

এমনটাই জানালেন বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়।

বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে মেলা প্রাঙ্গণের অডিটোরিয়ামে ‘জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধু ও সোনার বাংলার স্বপ্নের বাস্তবায়ন’ শীষর্ক একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অগ্নিনির্বাপণ জরুরি পরিষেবা ও বনদপ্তর বিভাগের মন্ত্রী সুজিত বসু।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেষ জীবন পর্যন্ত শোষিত মানুষের পক্ষে ছিলেন। বাংলাদেশ যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত। বর্তমানে তার সুযোগ্যা কন্যা শেখ হাসিনা তার অসমাপ্ত কাজগুলোকে বাস্তবায়ন করছেন। আর সে কারণেই বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে এ বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বইমেলা হবে এবং সেখানে বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে ভারত তথা পশ্চিমবাংলার প্রকাশনা সংস্থাগুলোও অংশ নেবে। কলকাতা বইমেলায় দাঁড়িয়ে বলছি পশ্চিমবাংলা যত জায়গা চাইবে ততটাই দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, দুই বাংলার সম্পর্ক আমাদের মধ্যে নিবিড়। ভারতীয় উপমহাদেশে শতাব্দীর শেষ আইডল হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই সময় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুধু বাংলাদেশ নয়, পশ্চিমবঙ্গকেও উদ্বুদ্ধ করেছিল। এবারের বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ন বাংলাদেশ ভবন হয়েছে। যেহেতু বইমেলার শেষে বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী তাই ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার থিম আবার বাংলাদেশ হবে। এই প্রথম কোনো দেশ বইমেলায় তৃতীয়বার থিম কান্ট্রি হতে চলেছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষে চলতি বছরে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বইমেলা হচ্ছে তাতে পশ্চিমবাংলা নিশ্চয়ই অংশগ্রহণ করবে।

এছাড়া এদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, বাংলাদেশ জ্ঞান ও প্রকাশনা সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ, বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস প্রধান তৌফিক হাসান, জাতীয় জাদুঘর ট্রাস্টিবোর্ডের সভাপতি শামসুজ্জামান খান, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রালয়ের সচিব ড. আবুহেনা মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন, পশ্চিমবঙ্গের অগ্নিনির্বাপণ ও জরুরি পরিষেবা বিষয়কমন্ত্রী সুজিত বসু, পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ গৌতম ভদ্র, পাবলিশার্স ও বুকসেলার্স গিল্ডের সভপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়।

সেমিনারের পর মঞ্চে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস। এছাড়া অতিথিরা বইমেলা ও বাংলাদেশ প্যাভেলিয়ন ঘুরে দেখেন। এদিনই ছিল বইমেলার শেষদিন এবং কলকাতার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ফলে শেষদিনও বইমেলায় ছিল প্রত্যাশিত ভিড়।

Pin It