কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে রোহিঙ্গাবাহী একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যমতে, ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ খবর নিশ্চিত করে কোস্টগার্ডের সেন্টমার্টিন স্টেশন কমান্ডার লে. নাঈম উল হক জানান, সোমবার গভীর রাতে ছেঁড়াদ্বীপের কাছে ট্রলারটি ডুবে যায় বলে জানিয়েছেন জীবিত উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা।
সূত্র জানা যায়, ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে বাহারছড়া উপকূল হয়ে ছেড়ে আসা দুইটি ট্রলার অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কারণে সেন্টমার্টিন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের অদূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ভোরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্বজোনের সেন্টমার্টিন বিসিজি ক্যাম্পের একটি দল ডুবে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে উদ্ধার অভিযানে যায়। এ সময় একটি ট্রলার ডুবে গেলেও অপর ট্রলার এবং সাগর হতে ভাসমান ১১ জন নারী ও চারজন শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ৭০ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে জীবিত উদ্ধার করে সেন্টমার্টিন জেটিতে আনা হয়।
উদ্ধারকৃতরা জানায়, তাদের সঙ্গে একশ ৫০ জন যাত্রী ছিল। উদ্ধারকৃত এসব রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষেরা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের বলে জানা গেছে। কোস্টগার্ডের অপর একটি আভিযানিক দল ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার এবং সাগরে জীবিত বা মৃতদেহ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তাই মৃতদেহ বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্বজোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার শুভাশিস দাস জানান, এখনো পর্যন্ত ১৫ জন মৃত এবং ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে সেন্টমার্টিনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত থাকায় এই ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
মানব পাচারের জন্য রোহিঙ্গা মওজুদের সংবাদ পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে পুলিশের শক্তিশালী কয়েকটি দল উপকূলীয় এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে।
এদিকে মানব পাচার দমনে সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা জোর প্রচারণা চালালেও টেকনাফ সদরের লম্বরী, হাবিরছড়া, মিঠাপানিরছড়া, বাহারছড়ার নোয়াখালী পাড়া, জুম্মাপাড়া, কচ্চপিয়া, বাঘঘোনা বাজারসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে চিহ্নিত কতিপয় প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তির সাথে সখ্যতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রহস্যজনকভাবে মানব পাচারের উৎসব চালাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।