সারাদেশের স্কুলপড়ুয়া ১০ লাখ শিশুকে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার সংক্রান্ত সনদ দেবে সরকার।
‘নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস-২০২০’ উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর বিসিসি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভা এবং অনলাইন সেফটি ফর চিলড্রেন সার্টিফিকেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “এক বছর সময়ের মধ্যে আমরা ১০ লাখ স্কুলগামী শিশুকে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের সনদ প্রদানের মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করব এবং লুকায়িত অনলাইন ঝুঁকির বিরুদ্ধে আমাদের শিশুদের অতি প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতি সাধন করব।”
ইন্টারনেটের নিরাপদ ব্যবহার ও তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের বিষয়ে সচেতন হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
পরে প্রতিমন্ত্রী অনলাইন সেফটি ফর চিলড্রেন সার্টিফিকেশন কোর্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত প্রশ্নোত্তর পর্বে পাঁচজন বিজয়ী শিক্ষার্থীকে মাঝে ৩০ হাজার টাকা করে আর্থিক পুরস্কার দেন।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে শিশু ও অভিভাকদের মধ্যে স্থানীয় ইন্টারনেট কনটেন্ট সম্পর্কে প্রচার চালানো, শিশুদের জন্য নেট এটিকেট (ইন্টারনেট শিষ্টাচার) বিষয়ক সেশন পরিচালনা এবং উন্মুক্ত আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি তোমো হোজুমি বলেন, “সাইবার প্রযুক্তির ঝুঁকি ও সম্ভাবনাগুলো বিবেচনা করার এবং ঝুঁকিগুলো কমিয়ে আনতে আমাদের সম্মিলিত প্রজ্ঞা ও শক্তি ব্যবহারের সময় এসেছে।
“শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান হতে পারে না, কারণ এটি একইসঙ্গে বিশাল তথ্য ও জ্ঞানের উৎস হিসেবে কাজ করে, যা শিশুদের জন্য প্রয়োজন।”
প্যানেল আলোচনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেইসবুকের ভারত, দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়ার হেড অব পলিসি প্রোগ্রামস সেলি ঠাকরাল, বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম ও সাংবাদিক মুন্নি সাহা।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগ ও এর আওতাধীন সংস্থা, ইউনিসেফের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
অনলাইন বিষয়ক ক্রমবর্ধমান সমস্যা ও প্রবণতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ২০০৪ সাল থেকে নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস পালিত হচ্ছে।