যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন: তবে কী স্যান্ডার্স বনাম ট্রাম্প ?

image-131143-1581869024

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে প্রতিযোগিতা করার মত কে আছে এমন প্রশ্ন ঘুড়ে বেড়িয়েছে অনেকের মনে। আগামী নির্বাচনে ভারমন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্সকেই এ লড়াইয়ে সবচেয়ে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

মূলত নিউ হ্যাম্পশায়ারের প্রাইমারিতে জেতার পরই তাকে নিয়ে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হচ্ছে। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাইমারিতে এখন পর্যন্ত বার্নি স্যান্ডার্স ও পিট বুটিগিগের মধ্যেই জোর লড়াই হচ্ছে। নিউ হ্যাম্পশায়ারের তারই লক্ষণ । এ থেকেই কিছুটা বোঝা যাচ্ছে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে।

শেস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাকে বেছে নিবে তা দেখা যাবে নির্বাচনে। তবে ৭৮ বছর বয়সী স্বঘোষিত সোশাল ডেমোক্রেট স্যান্ডার্সকে মনোনয়ন দিতে তার নিজের দলই প্রস্তুত কি না এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জনমনে প্রশ্ন উঠেছে বলে খবর বিবিসির।

জানা গেছে, প্রায় বছরখানেক ধরে চলা একের পর এক সমাবেশ, বৈঠক, বিতর্ক আর মাঠ পর্যায়ের কাজের পর তার প্রচারণা এখন অনেকের চেয়ে এগিয়ে। তবে মাত্র কয়েক মাস আগেও হৃদরোগের সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন স্যান্ডার্স। তবে গত চার বছরে আগেও স্যান্ডার্স আইওয়াতে নিউ হ্যাম্পশায়ারে জিতেছিলেন।

স্যান্ডার্সের প্রচারণা রক কনসার্টে রূপ নিয়েছে !

বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্যান্ডার্স নির্বাচনী প্রচারণা রক কনসার্টে রূপ নিয়েছে। ভ্যাম্পায়ার উইকেন্ড ও দ্য স্ট্রোকস নামের ব্যান্ডদুইটি তার নির্বাচনী প্রচারণায় পাশে দাঁড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন: তবে কী স্যান্ডার্স বনাম ট্রাম্প?নিউ হ্যাম্পশায়ারে প্রাইমারির ফল ঘোষণার পর স্যান্ডার্স বলেছিলেন, যে কারণে আমরা জিতেছি, তা হচ্ছে অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবকের কঠোর পরিশ্রম। আমি বলছি, আজকের এই জয় দিয়েই ডনাল্ড ট্রাম্পের সমাপ্তির শুরু হল।

গত বছর ডেমোক্র্যাটদের জনপ্রিয় প্রার্থী ছিলেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে প্রথম দুটি মনোনয়ন লড়াইয়ে তার অবস্থান ভালো ছিল না। লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের পছন্দের প্রার্থী এলিজাবেথ ওয়ারেন দুই অঙ্গরাজ্যেই স্যান্ডার্সের পেছনে ছিলেন। বর্তমানে এই দুজনের এগিয়ে আসারও তেমন কোনো লক্ষ্মণ নেই বলে খবর প্রকাশ হয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।

Pin It