সাময়িক সুবিধা দিলেও এই ধরনের ওষুধ নারীর প্রজনন তন্ত্রের ক্ষতি করে।
ঋতুস্রাব নারীদের প্রতিমাসের নিয়মিত ঘটনা। অনেক সময় বেড়াতে যাওয়া কিংবা কোনো জরুরি কাজের সময় ঋতুস্রাবের কারণে অস্বস্তিতে পড়েন। এই অবস্থায় অনেকেই বেছে ওষুধ খেয়ে ঋতুস্রাবের সময় এগিয়ে আনেন কিংবা পিছিয়ে দেন।
সাময়িক সুবিধা দিলেও এই ধরনের ওষুধ নারীর প্রজনন তন্ত্রের ক্ষতি করে। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হল এই ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
ঋতুস্রাবের চক্রে বিশৃঙ্খলা: প্রায়শই যারা এই ধরনের ওষুধ সেবন করে স্বাভাবিক ঋতুস্রাবের চক্রে পরিবর্তন আনছেন, দীর্ঘমেয়াদে তাদের ঋতুস্রাব চক্রে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। মাত্র কয়েকদিনের হেরফের করার কারণেই ঋতুস্রাবের চক্র বিশৃঙ্খল হয়ে উঠতে পারে। কিছু নারী আবার এই ওষুধগুলোকে জন্ম নিয়ন্ত্রক ওষুধ মনে করে সেবনের কারণে গর্ভবতীও হয়ে যান।
ভারী রক্তপাত: ঋতুস্রাব বিলম্ব করার ওষুধ সেবনকারী ২০ শতাংশ নারীই ওষুধ সেবনের পর কয়েকমাস ঋতুস্রাবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি রক্তপাতের শিকার হন। কারও ক্ষেত্রে ভারী রক্তপাত অনেক বেশি লম্বা সময় ধরে চলতে থাকে। তাই ওষুধ সেবনের আগে ভালোমন্দ যাচাই করে দেখতে হবে যে কারণে ওষুধ সেবন করছেন তা কি আদৌ কয়েক মাস বাড়তি কষ্ট ভোগ করার যোগ্য?
স্বাস্থ্য সমস্যা: ঋতুস্রাব বিলম্বিত করার ওষুধ এবং জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি দুটাই লম্বা সময় সেবন করলে ডেকে আনে মারাত্বক রোগ। ‘ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস’ বা রক্ত জমাট বেঁধে ধমনি আটকে যাওয়া, ‘পালমোনারি এমবোলিজম’ ইত্যাদি রোগ হতে পারে প্রাণঘাতী। এই ওষুধগুলো শোষিত হয় যকৃতে। ফলে তা অন্যান্য ওষুধের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে, এমনকি নিষ্ক্রিয়ও করে দিতে পারে।
এছাড়াও আছে নানান পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াও। শারীরিক অসুস্থতা, ডায়রিয়া, যোনীপথে অপ্রত্যাশিত রক্তক্ষরণ, ব্যথা, পেশিতে টান ইত্যাদি এমন ওষুধের সাধারণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম।