আবারো রেল লাইনে ছুটবে পারাবতের সেই দুর্ঘটনা কবলিত পুড়ে যাওয়া ইঞ্জিন। পার্বতীপুর রেলওয়ের লোকমোটিভ কারখানায় ইঞ্জিনটি মেরামত করা সম্ভব হয়েছে। ইঞ্জিনটি মেরামত করতে পারায় সরকারের সাশ্রয় হয়েছে কমপক্ষে ৩৩ কোটি টাকা। মঙ্গলবার ২৯৩৩ নম্বরের ইঞ্জিনটি রেল বহরে যুক্ত হয়েছে।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে জাপানের অর্থ সহায়তায় এমআই ১৫ ক্লাসের ১১টি লোকোমোটিভ দক্ষিণ কোরিয়ায় হুন্দাই রোটেম কোম্পানি থেকে আমদানি করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর ঢাকা-সিলেট পথে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি মধূপুর নোয়াপাড়া রেল স্টেশনে প্রবেশকালে দুর্ঘটনায় পড়ে। ফেসিং পয়েন্টের সুইচ ক্রটির কারণে ফুয়েল ট্যাংক রেল লাইনে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আগুন লেগে ইঞ্জিনের অধিকাংশ যন্ত্রাংশ পুড়ে যায়। দুর্ঘটনা কবলিত ইঞ্জিনটি চট্রগ্রামের পাহাড়তলী ডিজেল শপে পরীক্ষার পর প্রায় সকল যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার বিষয়টি জানা যায়। ফলে ইঞ্জিনটি জেনারেল ওভার হোলিং(জিওএইচ) করার জন্য পার্বতীপুর লোকোমোটিভ কারখানায় পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু ইঞ্জিনটি বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে নিয়ে আসা ঝুকিপূর্ণ মনে করে তা দীর্ঘদিন নদীর নাব্যতা ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় বালাসি ঘাটে পড়ে থাকে। অবশেষে শর্তসাপেক্ষে ইঞ্জিনটি বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে গত বছরের ১৫ মে পার্বতীপুরে আনা হয়।
পার্বতীপুর লোকোমোটিভ কারখানার প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ কুদরত-ই-খুদা জানান, দুর্ঘটনাকবলিত লোকোমোটিভটি মেরামত একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। পুড়ে যাওয়া এ ধরনের ক্ষতিগ্রস্থ ইঞ্জিন এর আগে কখনো মেরামত করা সম্ভব হয়নি। দেশে ও বিদেশ থেকে খুচরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে ইঞ্জিনটি মেরামত করা হয়েছে। এ ধরনের একটি ইঞ্জিনের দাম ৩৫ কোটি টাকা। মাত্র ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ইঞ্জিনটি রেলবহরে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৩ কোটি টাকা।