করোনা ঠেকাতে দেশে তিন স্তরের প্রস্তুতি

d-samakal-samakal-5e569bacb0c71

দেশে এখনও করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোনো রোগী পাওয়া না গেলেও এটি প্রতিরোধে তিন ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

বুধবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সরকারের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এ তথ্য জানায়।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, করোনার বিস্তার ঠেকাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের সমন্বয়ে প্রস্তুতির খসড়া তৈরি করা হয়েছে। অনেক আগে থেকেই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আক্রান্ত কাউকে পাওয়া গেলে তার ব্যবস্থাপনা কী হবে, সে প্রস্তুতি আগেভাগেই নেওয়া হয়েছে।

তিন স্তরে পরিকল্পনার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে একটি হচ্ছে, অ্যালার্ট লেভেল- যখন কোনো রোগী নেই। বর্তমানে আমরা সেই কর্মসূচি পালন করছি। দ্বিতীয়ত, যখন বিদেশ থেকে রোগী পাওয়া যাবে, অল্প সংখ্যক- সেটি আরেকটা লেভেল। আর শেষটা হলো যদি অনেক রোগী হয়ে যায়, সেই লেভেল।’

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে না। তার পরও প্রতিরোধের প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখা হচ্ছে না। সম্মিলিতভাবে যে কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে, তাতে আশা করি এই রোগটি দ্রুত ছড়াতে পারবে না।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষার উপকরণের কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু কিট পাইপলাইনে আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চীন থেকে কিট এসেছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য এখনও কাউকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। একসঙ্গে একশ’ কিংবা তারও বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হলে সেক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশনা দিয়েছে। প্রাথমিক উপসর্গ দেখা দিলে ধরে নিতে হবে যে, করোনাভাইরাসের রোগী তারা। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে।

চিকিৎসার বিষয়ে ডা. ফ্লোরা বলেন, করোনার পৃথক কোনো চিকিৎসা নেই। কমন কোল্ডের চিকিৎসা দিতে হবে। রোগটি ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখতে হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ৮০ ভাগের বেশি মৃদু, ১৪ শতাংশের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়েছে। আর ৬ শতাংশ জটিল অবস্থা নিয়ে আইসিইউ সাপোর্টে চিকিৎসা নিয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে এখন পর্যন্ত ৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারও মধ্যে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। উহানফেরত সবাই সুস্থ আছেন। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার পর তাদের বাড়ি পাঠানো হয়েছে। এরপর তাদের আরও ১০ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। সেই মেয়াদও শেষ হয়েছে। তাদের ভেতর কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি। সুতরাং তারা প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন।

করোনায় আক্রান্ত সিঙ্গাপুরে ৫ জন এবং আরব আমিরাতে একজনের অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানান পরিচালক।

Pin It