একই সঙ্গে বাড়লো নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবাপণ্য বিদ্যুৎ ও পানির দাম। এমনিতে চাল, পেঁয়াজ, রসুনসহ বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্যের অতিরিক্ত দামে অস্বস্তিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই গতকাল এই ঘোষণা এলো। এর ফলে দ্রব্যমূল্য আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে ব্যাপকভাবে চাপে পড়বে সাধারণ মানুষ।
আগামী মার্চ থেকে বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধি কার্যকর হবে। ফলে চাহিদা অনুসারে সরবরাহ না মিললেও এপ্রিল থেকে গ্রাহককে পানি ও বিদ্যুতের জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সারাদেশের জন্য প্রয্যেজ্য হলেও পানির দাম বৃদ্ধি কার্যকর হবে শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীর গ্রাহকদের জন্য।
সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। আগামী মার্চের বিদ্যুৎ বিলে প্রতি ইউনিটের (কিলোওয়াট/ঘণ্টা) জন্য গড়ে ৩৬ পয়সা করে বেশি দিতে হবে। দাম বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি হতদরিদ্র গ্রাহকদের (লাইফলাইন ট্যারিফ, ৫০ ইউনিট পর্যন্ত) ক্ষেত্রে।
ঢাকা ওয়াসার প্রতি হাজার লিটার পানি আবাসিকে বেড়েছে ২৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও বাণিজ্যিক ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। চট্টগ্রাম ওয়াসার আবাসিক প্রতি হাজার লিটার পানিতে ২৫ শতাংশ এবং বাণিজ্যিকে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।
দাম বৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবৃত্তি শ্রেণির গ্রাহকদের। ব্যয় বাড়বে শিল্পমালিকদেরও। মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির গ্রাহকদের মাসিক বিদ্যুতের খরচ ১০০ টাকার ওপর বাড়বে। বড় শিল্পমালিকদের মাসিক বিদ্যুৎ বিল ৯ লাখ থেকে ১৪ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়বে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে পানির জন্য বাড়তি ব্যয়।
ব্যবসায়ীরা বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে রপ্তানিমুখী শিল্প হুমকির মুখে। আবার বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো হলো। এতে শিল্প উৎপাদন, বিশেষ করে পোশাক খাত ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। বাধাগ্রস্ত হবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি :বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যুতের দাম খুচরা পর্যায়ে গড়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বা ইউনিটপ্রতি গড়ে ৩৬ পয়সা বাড়িয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে গড়ে বাড়ানো হয়েছে ৪০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে বিইআরসির কার্যালয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল দাম বৃদ্ধির এ ঘোষণা দেন। বিদ্যুতের খুচরা মূল্য ইউনিটপ্রতি গড়ে ৬ দশমিক ৭৭ টাকা ইউনিট থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ১৩ টাকা এবং পাইকারি পর্যায়ে ৪ দশমিক ৭৭ থেকে বাড়িয়ে ৫ দশমিক ১৭ টাকা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের সঞ্চালন মাশুল বাড়ানো হয়েছে। এই মাশুল প্রতি ইউনিটের জন্য ২৭ দশমিক ৮৭ পয়সা থেকে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ২৯ দশমিক ৩৪ পয়সা করা হয়েছে। গ্রাহকদের মাসিক ডিমান্ড চার্জ পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এখন দিতে হবে ৩০ টাকা।
আবাসিকে লাইফলাইন শ্রেণিতে (শূন্য থেকে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত) প্রতি ইউনিটে তিন টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৮দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে ৩ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে। এতে ৫০ ইউনিট ব্যবহারকারী গ্রাহকের মাসিক খরচ বর্তমান ২০০ টাকা থেকে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে ২১৭ টাকা ৫০ পয়সা হবে। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইফলাইন শ্রেণিতে যেসব গ্রাহকের ইউনিটপ্রতি দাম ৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে তিন টাকা ৮৭ পয়সা ছিল তাদের বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়নি। তবে ডিমান্ড চার্জ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতি মাসে তাদের বিল পাঁচ টাকা বাড়বে। শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীদের বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি চার টাকা থেকে বেড়ে চার টাকা ১৯ পয়সা করা হয়েছে। ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারী গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে ৫ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বেড়ে ৫ টাকা ৭২ পয়সা হবে। ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারী গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে ৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে ৬ টাকা হবে। ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে ৬ টাকা ০২ পয়সা থেকে বেড়ে ৬ টাকা ৩৪ পয়সা হবে। ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিটে ৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে ৯ টাকা ৯৪ পয়সা হবে। ৬০০ ইউনিটের উপরে ব্যবহারকারী গ্রাহকের বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ১০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে ১১ টাকা ৪৬ পয়সা হবে।
এছাড়া সেচে প্রতি ইউনিটে দাম চার টাকা থেকে চার টাকা ১৬ পয়সা হবে।
ক্ষুদ্রশিল্পে প্রতি ইউনিটের দাম ৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে ৮ টাকা ৫৩ পয়সা হবে। এতে এ খাতে মাসিক বিল তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়বে। মাঝারিশিল্পে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম ৮ টাকা ১৫ পয়সা থেকে বেড়ে ৮ টাকা ৫৫ পয়সা হয়েছে। এতে মাঝারি শিল্প মালিকদের বিদ্যুতের খরচ মাসে ১৭ হাজার থেকে ৮৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। বড় শিল্প মালিকদের বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ৮ টাকা ৫ পয়সা থেকে বেড়ে ৮ টাকা ৪৫ পয়সা হবে। এ ধরনের শিল্প খাতে বিদ্যুতের মাসিক খরচ ৮ লাখ ৭০ হাজার থেকে ১৩ লাখ ৯২ হাজার টাকা হবে।
নির্মাণ খাতে নতুন দাম ইউনিটপ্রতি ১২ টাকা। ধর্মীয়, শিক্ষা এবং দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ইউনিটপ্রতি দাম হচ্ছে ৬ টাকা ০২ পয়সা, রাস্তার বাতিতে ৭ টাকা ৭০ পয়সা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ফ্ল্যাট রেট ইউনিটপ্রতি ১০ টাকা ৩০ পয়সা, অফপিকে ৯ টাকা ২৭ পয়সা এবং পিকে ১২ টাকা ৩৬ পয়সা করা হয়েছে। এছাড়াও ইলেকট্রিক যানের ব্যাটারি চার্জ দিতে পৃথক বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ফ্ল্যাট ৭ টাকা ৬৪ পয়সা, অফ পিক ৬ টাকা ৮৮ পয়সা, সুপার অফ পিক ৬ টাকা ১১ পয়সা এবং পিক ৯ টাকা ৫৫ পয়সা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবর মাসে পিডিবি ও বিতরণ কোম্পানিগুলো বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। এরপর ২৮ নভেম্বর থেকে চার দিনব্যাপী গণশুনানি করে কমিশন। ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৮ বার বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর গ্রাহক পর্যায়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। সেই সময় পাইকারি পর্যায়ে বাড়ানো হয়নি।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পক্ষে যুক্তি :সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, দাম বাড়ানোর জন্য কমিশন যেসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েছে তার মধ্যে আমদানি করা কয়লার ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট ধার্য, ক্যাপাসিটি চার্জের পরিমাণ বৃদ্ধি, অবচয় ব্যয় বৃদ্ধি, তুলনামূলক কম দামে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর অধিক পরিমাণ বিদ্যুৎ ক্রয় এবং এক্সপোর্ট ক্রেডিট এজেন্সির অর্থায়নে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছিল সেগুলোর সুদ পরিশোধ এবং প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দামের ওপর ১০ পয়সা হারে ডিমান্ড চার্জ আরোপ করা।
তিনি বলেন, আমরা লাইফলাইন গ্রাহক ও নিম্নমধ্যবিত্ত গ্রাহকদের গুরুত্ব দিয়েছি। তাদের বিদ্যুতের দাম খুব একটা বাড়েনি। আমরা আদেশে বলেছি, এখন থেকে আর কোনো তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো যাবে না এবং গ্যাস নেটওয়ার্ক আছে এমন এলাকাগুলোতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা যাবে না।
তবে সংশ্নিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও পিডিবির উচ্চমূল্যে তেল ক্রয় এবং বসে থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়ার জন্যই এবার দাম বাড়ানো হয়েছে। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে কমিশন বলছে, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা বেশি হওয়াতে পুরাতন ও তেলভিত্তিক কেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তা আর নবায়ন করা যাবে না।
বিপক্ষে যুক্তি :ভোক্তা প্রতিনিধি হিসেবে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে অযৌক্তিক ব্যয় না কমিয়ে জনগণের কাঁধে বাড়তি বোঝা চাপানো হয়েছে। তিনি বলেন, গণশুনানিতে আমরা বিদ্যুৎ খাতের নয় হাজার কোটি টাকার ওপরে অযৌক্তিক ব্যয়ের হিসাব দিয়েছিলাম। এ ব্যয় যদি সমন্বয় করা হতো, তাহলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, করোনার কারণে রপ্তানিমুখী শিল্প বিশেষ করে পোশাক খাত ভীষণ চাপে রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি তাদের বাড়তি চাপে ফেলবে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমবে।
অর্থনীতিবিদ এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, পানি ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণে চাপে পড়বে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। তাদের মাসিক খরচ বেড়ে যাবে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ভালো নয়। পানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। উৎপাদনের ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়িয়ে খরচ কমানো গেলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না। আজিজুল ইসলাম আরও বলেন, করোনার কারণে ঝুঁকিতে থাকা শিল্প খাত পানি ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে আরও চাপে পড়বে।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের অনেক এলাকায় পানির সংকট ও পানিতে দুর্গন্ধের অভিযোগ রয়েছে। মান না বাড়িয়ে ফের পানির দাম বাড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে শাহজাহানপুরের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ওয়াসার সরবরাহ নলে যে পানি আসে তাতে দুর্গন্ধ। এ কারণে বাড়তি বিল দিতে তার আপত্তি আছে।
পানির দাম :গত ২৬ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাইদ-উর-রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। ওই আদেশে বলা হয়েছে, ঢাকা ওয়াসার সরবরাহকৃত প্রতি হাজার লিটার আবাসিক পানির দাম ১১ টাকা ৫৭ পয়সার স্থলে ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা করা হয়েছে। আর বাণিজ্যিক প্রতি হাজার লিটার পানির দাম ৩৭ টাকা ৪ পয়সার স্থলে ৪০ টাকা করা হয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রতি হাজার লিটার আবাসিক পানির দাম ৯ টাকা ৯২ পয়সার স্থলে ১২ টাকা ৪০ পয়সা করা হয়েছে। আর বাণিজ্যিক প্রতি হাজার লিটার পানির দাম ২৭ টাকা ৫৬ পয়সার স্থলে ৩০ টাকা ৩০ পয়সা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় আবাসিকে প্রতি হাজার লিটার পানির বিল ছিল ৫ টাকা ৭৫ পয়সা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, উৎপাদন খরচ অনেক বেশি হওয়ায় পানির দাম আবার বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনার পর পানির মান আরও বাড়ানো হচ্ছে। ঢাকায় পানির যে সমস্যা ছিল সেগুলো সমাধানের জন্য কাজ চলছে। চট্টগ্রামে ঘাটতি পূরণে নতুন পানি শোধনাগার তৈরি করা হচ্ছে।
পানি বিশেষজ্ঞ ম. ইনামুল হক বলেন, সরকার নোংরা ও দূষিত পানি সরবরাহ করছে। শহরের পয়ঃনিস্কাশন সিস্টেম অকেজো। তারপরও দাম বাড়ানো হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
ঢাকায় এখন দৈনিক পানির উৎপাদন ২৪৫ কোটি লিটার, যেখানে চাহিদা ২৩০ থেকে ২৩৫ কোটি লিটার। চট্টগ্রামে বর্তমানে দৈনিক পানি উৎপাদন হয় ৩৯১ মিলিয়ন লিটার। এর মধ্যে অপচয় হয় ১০৯ মিলিয়ন লিটার। চট্টগ্রামে পানির চাহিদা হলো ৫৫০ মিলিয়ন লিটার।
ঢাকা ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তা বলেন, পাম্পগুলো চালানোর খরচের বড় একটা অংশই যায় বিদ্যুতের পেছনে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে পানির দাম বাড়াতে হচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পানি সরবরাহ অনু বিভাগ) জহিরুল ইসলাম বলেন, ভর্তুকি কমাতে পানির দাম বাড়াতে হচ্ছে।