আবুল হোসাইনঃ কুদ্দুস আফ্রাদ এমন একজন মানুষ যিনি সারাটি জীবন সততা , দৃঢ়তার সাথে জীবন যাপিত করে আসছেন । মেধাবী , পরিশ্রমী ও বটে । পরোপকারী, বিনয়ী , সাহসী , নিরহংকারী ,দারুন মিশুক একজন মানুষ । সাদাকে সাদা, কালোকে কালোই বলেন অকপটে । ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে , ইনিয়ে বিনিময়ে তিলকে তাল বলার মানুষ তিনি নন । যা সত্য তা স্পষ্ট বলে ফেলতে পারেন । কারো প্রতি রাগ হলেও সামনে ঝেড়ে ফেলে নিমিষে শেষ হয়ে যায় । পরক্ষণেই জড়িয়ে ধরে চুমু খেতেও দেরি হয়না । ভালো ভালো জায়গায় কাজ করা সত্ত্বেও কখনো অর্থ বিত্তের মালিক হননি । যা উপার্জন করেছেন তা সংসার , সমাজে ব্যয় করিয়েছেন । ডিইউজের সম্পাদক থাকলেও তিনি আলাদীনের চেরাগের দৈত্যের কাছে যাননি! তাই তিনি বিত্তহীন ! সারাজীবন সৎভাবে, সৎ আয় দ্বারা জীবন যাপন করেছেন !
আমরাতো দেখি ডিইউজের নেতৃত্বে আসার আগে সাইকেলে উঠার সামর্থ্য ও ছিলোনা ! কিন্তু নেতা হওয়ার পর আলাদীনের চেরাগের দৈত্যের স্পর্শে গাড়ি, বাড়ি শান শওকত, আড়ম্বর জীবন যাপন করছেন ! ব্যাংক ব্যালেন্স সবই হয়ে গেছে ! আশ্চর্য যাদু ! এ এক্ষেত্রে কুদ্দুস আফ্রাদ উল্টো ! পকেটে টাকা যদি থাকে উদার হস্তে খরচ করেন ! যার জন্য তাঁর জমার ঘর শুণ্যই রয়ে গেছে ! পরিশ্রমী, মেধাবী বিধায় কখনো বেকার থাকতে হয়নি । তাই খুব অভাব না থাকলেও জৌলুস , আড়ম্বর ও নেই । তাঁর ভাবটা এমন , যতদিন বাঁচবো খেয়ে দেয়ে সততার সাথে মানুষের মাঝেই বাঁচবো ! তিনি প্রায়ই বলেন , জীবনতো একটাই , তাও স্বল্প সময়ের জন্য ! এসব করে লাভ কি ? যতদিন পারি এই স্বল্প সময়ে মানুষ, সমাজের কোন কাজ করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবো ! গাড়ি, বাড়ি, বিত্ত বৈভবের দরকার নেই ! ভাঙাচোরা , লক্কর-ঝক্কর ভ্যাসপা মোটর বাইকটি বাদ দিয়ে নতুন একটি মোটর বাইক কিনতে বলি , তাও হয়ে উঠছে না ! দুষ্টুমি করে বলি আলাদীনের চেরাগের সংস্পর্শে যাবেন না ? তিনি ঝটপট উত্তর দেন , যেদিন যাবো ,সেদিন ছুড়ে ফেলে দিবেন ! এই হচ্ছে আমাদের কুদ্দুস আফ্রাদ ! শুধু নির্বাচন সামনে বিধায় বলছিনা ! একজন সৎ মানুষের প্রতিকৃতি আঁকছি মাত্র ! আমার কথায় নয় , একটু সত্যসত্যা যাচাই করে দেখুন প্লিজ ! তারপর অমিল পেলে না হয় দুটো কটু কথা বলবেন ! তবে হ্যাঁ, নির্বাচন কে সামনে রেখে এসব আমাদের বিবেক বিবেচনায় আনতে হবে !
আমরা যদি এসব বিবেচনায় না আনি তাহলে আলাদীনের চেরাগ জয়ীরা আবারো নির্বাচিত হবে ! সৎ ,ভালো লোকেরা আর আসবেনা ! আমরা অসৎ নেতৃত্ব দ্বারা শাসিত হতেই থাকবো ! যারা আমাদের মাথাটা বিক্রি করে আরো আরো জীবনকে জৌলুসময় করবে ! আমরা মাঝ পথে শুধু নিজের স্বার্থপর অবুঝ কর্মকান্ডের জন্য হ্যাঁ পিত্যেস করবো ! লাভ তো কিছুই হবেনা তখন ! কারণ নেতা তো ব্যাপারি ! ব্যবসা করেই যাবেন ! নিজের জৌলুসময় জীবনকে আরো সাজাবেন !
অতএব ডিইউজের সকল সদস্যদের প্রতি আবেদন আসুন ২৯ ফেব্র্রুয়ারী ডিইউজের নির্বাচনে কুদ্দুস আফ্রাদ প্যানেলকে বিজয়ী করি ।