অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, উচ্চ হারে সুদের কারণেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে। খেলাপি ঋণের ভার আর সহ্য করতে না পেরেই ঋণের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের অর্থনীতি কেমন চলছে শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এ মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, রফতানিখাতকে সুবিধা দিতে টাকার মান কমানো হলে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যেতে পারে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মো. রকিবুর রহমান প্রমুখ।
ইংরেজি দৈনিক ডেইলি অবজারভার ও বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি যৌথভাবে এই আলোচনার আয়োজন করে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি যত শক্তিশালী হবে তার প্রতিফলন দেখা যাবে পুঁজিবাজারে। এটা সরাসরি সম্পৃক্ত। তারপরও অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী কিন্তু পুঁজিবাজার ঠনঠন, সেটা হতে পারে না। সুতরাং এর কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে।
ডিএসই পরিচালক মো. রকিবুর রহমানের বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের কাজ হবে পুঁজিবাজারকে সমৃদ্ধ করা। দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য সরকার এই কাজ করবে। পুঁজিবাজারের সমস্যা সরকার সমাধান করে দেবে না। সরকার সমাধান করতে পারে না। তবে পুঁজিবাজারের সমস্যা সমাধানে সব ধরনের সহযোগিতা সরকার করবে। আপনারা সমাধানের পথ তৈরি করুন। আমরা সমাধান দেখতে চাই। এক্ষেত্রে আইন অনেক আছে। আইনগুলোতে কোনো অসঙ্গতি আছে কি না সেগুলো দেখবেন। সেগুলো দেখার জন্য যারা কমিটিতে আছে তাদেরকেও আপনারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। এখন এক হয়ে কাজ করলে এর সমাধান পাবেন। একীভূত না হয়ে একে অপরের সমালোচনা করলে আমরা কাজটি করতে পারব না।
করোনা ভাইরাস সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরা প্রতিটি মন্ত্রীসভার বৈঠকের পরে প্রায় ১ ঘণ্টা আলোচনা করি। কীভাবে ওটা রোধ করা যায়, সেই জন্য কথা বলি। আসলে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আমাদের হাতে কিছু নেই। আমরা শুধু পারি, এর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে। কীভাবে এর প্রতিরোধ করা যায়, সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে।