করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণ দেখিয়ে রাজধানীর আরামবাগে গণফোরাম কার্যালয়ে কোনো ধরনের সভা না করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার গণফোরাম আহ্বায়ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসন গণজমায়েত না করার জন্য সতর্ক করেছে। এ অবস্থায় গণফোরাম কার্যালয়ে পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত কোনো সভা করা যাবে না।
অন্যদিকে দলটির পদবঞ্চিত নেতারা যে কোনো মূল্যে শনিবার বিকেলে কার্যালয়ে বর্ধিত সভা আয়োজন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
বিক্ষুব্ধ নেতাদের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভা বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। দলের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা আগামী দিনের কর্মপন্থা নির্ধারণ করবেন। বর্ধিত সভায় সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন তারা।
গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে ৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন কেন্দ্র করে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ কমিটিতে অনেক শীর্ষ নেতাসহ আগের কমিটির অধিকাংশ নেতাকে বাদ দেওয়ায় বিক্ষুব্ধরা বর্ধিত সভা আহ্বান করেছেন। বাদ পড়া নেতাদের মধ্যে গণফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও অধ্যাপক আবু সাইয়িদ রয়েছেন।
কার্যালয়ে সভা করায় বিধিনিষেধ বিষয়ে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, দেশের কোনো রাজনৈতিক কার্যালয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। শুধু গণফোরামেরটা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে। এজন্যই তারা বর্ধিত সভা আহ্বান করেছেন। তিনি বলেন, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও খোলা, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ও খোলা আছে। গণফোরামের কার্যালয়ও খোলা থাকবে।