ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের হিড়িক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে

Untitled-45-samakal-5e6e80e95da7b

করোনাভাইরাস আতঙ্কে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধের দাবি জোরালো হচ্ছে। এ দাবিতে গতকাল রোববার থেকে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন শুরু করেছেন। শিক্ষক নেতারাও ক্যাম্পাস বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দাবিতে ৪০টির বেশি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে উপাচার্য আজ জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গতকাল রোববার থেকে সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরাও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। একই দাবিতে সব ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জানিয়েছে, তারা কাম্পাস বন্ধের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জানান, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। সংক্রমণ ঠেকাতে ক্যাম্পাস বন্ধের দাবি জোরদার হচ্ছে। ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চল্লিশটিরও বেশি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ডাকসু। একই দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। তবে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। একবার ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জনবহুল এলাকায় এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। তাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।

তারা বলছেন, ঢাবির আবাসিক হলগুলোর একরুমে ৮-১০ জন করে থাকে। গণরুমগুলোতে ৪ জনের স্থলে থাকে ৪০ জন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের উদ্বেগ দেখাচ্ছে না। হলগুলোতে একবার করোনা ছড়িয়ে পড়লে অবস্থা খুবই শোচনীয় হবে। প্রতিবেশী ভারতসহ অনেক দেশেই ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ডাকসুর কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

ক্যাম্পাস বন্ধের দাবিতে শনিবার রাত ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশনে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী। গতকাল রোববার দুপুরে দেখা যায়, দুপুরে রোদের কারণে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তারা অনশন স্থগিত করেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চল্লিশ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে অন্তত ২৫ হাজার হলে গাদাগাদি করে থাকে। কেউ একজন আক্রান্ত হলে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে। এ জন্য প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা। দেশের বৃহত্তম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাবিতে প্রায় ১০০টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সাময়িক বন্ধ কিংবা গ্রীষ্ফ্মের ছুটি এগিয়ে আনাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। গতকাল রোববার দুপুরে ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসাইন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন। এ সময় সেখানে ডাকসুর আরও কয়েক নেতা উপস্থিত ছিলেন। তাদের অন্য দাবির মধ্যে রয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সব ধরনের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সভা-সমাবেশ বাতিল অথবা বিধিনিষেধ আরোপ করা। আবাসিক হলগুলোতে পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ এবং সাবানের ব্যবস্থা করা। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে আপদকালীন মেডিকেল ইউনিট স্থাপন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গণজমায়েত ও গণপরিবহন নিয়ন্ত্রণ করা।

করোনা প্রতিরোধে একই দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। গতকাল বিকেলে ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। সমিতি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবিলম্বে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা অথবা গ্রীষ্ফ্মকালীন ছুটি নির্ধারিত সময়ের আগে কার্যকর করার জন্য সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে ক্যাম্পাস বন্ধ না করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টে। প্রশাসনের নির্লিপ্ততার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য এবং প্রক্টরকে নিয়ে নানা ধরনের ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট করছেন শিক্ষার্থীরা।

উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, এ বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বসে নেই। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগের চেয়ারপারসন, হল প্রভোস্ট এবং ডাকসু ও হল সংসদের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে একটি জরুরি সভার আহ্বান করা হয়েছে। সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জবি প্রতিবেদক জানান, রাজধানীর জগন্নম্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা করেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আসা পর্যন্ত এই ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। গতকাল রোববার বিকেলে শিক্ষার্থীরা এই ঘোষণা দেন। এর আগে সব বিভাগের শ্রেণি প্রতিনিধিরা একত্রিত হন। সেখানে এক ঘণ্টা আলোচনার পর তারা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। শিক্ষার্থীরা জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।

উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন, সরকার যদি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা দেয় তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেব। এ বিষয়ে আমাদের আলাদা কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শিক্ষার্থীরা যদি ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় সেটা একান্তই তাদের ব্যাপার। আর শিক্ষার্থী না এলে তো ক্লাস-পরীক্ষা হবে না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা’র প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও স্বাধিকার আন্দোলন।

রাবি প্রতিনিধি জানান, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। রাবি শিক্ষার্থীরা বলেন, কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে দ্রুতই সেটি ছড়িয়ে পড়বে। তখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করেও কোনো লাভ হবে না। এখানে অনেক শিক্ষক সম্প্রতি বিভিন্ন দেশ থেকে ভ্রমণ করে এসেছেন।

এ বিষয়ে রাবির প্রক্টর ও ভারপ্রাপ্ত ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের বিষয়ে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। শিক্ষার্থীরা নিজেদের থেকে বর্জন করেছেন। ওপর মহল থেকে নির্দেশনা পেলে ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হবে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দাবিতে রোববার সকাল ১১টায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

অপরদিকে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রুয়েটের শিক্ষার্থীরা। করোনা আতঙ্ক না কাটা পর্যন্ত ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. রবিউল আওয়াল বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা এখনও বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেইনি। রুটিন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চলবে।

শেকৃবি প্রতিনিধি জানান, করোনাভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় সব ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন বিভিন্ন বর্ষের ছাত্র প্রতিনিধিরা। এর আগে সকালে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এক জরুরি বৈঠকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শুধু পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা জানান, সম্প্রতি কয়েকজন শিক্ষক চীন, কোরিয়া, নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরলেও কোনো রকম কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই চলাফেরা ও ক্লাস নিচ্ছেন; যা খুবই ভয়াবহ ব্যাপার। উপাচার্য কামাল উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হওয়ার কারণে আমরা পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে সরকারি কোনো নির্দেশনা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

বাকৃবি সংবাদদাতা জানান, করোনা আতঙ্কে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সব অনুষদের শিক্ষার্থীরা গতকাল দুপুর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জানা যায়, ছাত্র প্রতিনিধিরা ক্লাস বর্জনের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর গ্রহণ করে নিজ নিজ অনুষদীয় ডিনের কাছে জমা দেন। গণস্বাক্ষর জমাদানের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন। এ ছাড়া ওই দিন দুপুরে প্রতিটি অনুষদের ক্লাস প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আলোচনায় ছাত্র প্রতিনিধিরা প্রশাসনিকভাবে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানান।

উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা নেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছি। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।

সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বন্দর বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট :দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের প্রেক্ষাপটে সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রিটে দেশের স্থল, নৌ এবং বিমানবন্দরও বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্নিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা সচিব, পররাষ্ট্র সচিবসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

পরে আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বে করোনাভাইরাসের আক্রমণ মহামারি হয়ে দেখা দিয়েছে। দেশেও আক্রান্ত রোগী আছে। করোনার সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্দর বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এ দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বন্দর বন্ধ না হওয়ায় এগুলো বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়েছে। তিনি জানান, আজ সোমবার রিটটি শুনানির জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

Pin It