জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী আয়োজনে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করলেন তার দুই মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
মঙ্গলবার রাতে মুজিববর্ষের বিশেষ উদ্বোধনী আয়োজনে বাবাকে নিবেদন করে ছোট মেয়ে শেখ রেহানার লেখা কবিতা আবৃত্তি করলেন বড় মেয়ে শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের অডিও-ভিজ্যুয়াল দিয়ে সাজানো হয় কবিতা পাঠের অংশটি, যাতে সংযুক্ত করা হয় ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণের একটি অংশও।
’বাবা’ শিরোনামের ওই কবিতা শেখ রেহানা লিখেছিলেন ২০১০ সালে; বাবাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে না পারার আক্ষেপ ঝরে সেই কবিতায়।
জন্মদিনে প্রতিবার একটি ফুল দিয়ে
শুভেচ্ছা জানানো ছিল
আমার সবচেয়ে আনন্দ।
আর কখনো পাবো না এই সুখ
আর কখনো বলতে পারব না
শুভ জন্মদিন।
কেন এমন হল?
কে দেবে আমার প্রশ্নের উত্তর।
কোথায় পাব তোমায়…
যদি সন্ধ্যাতারাদের মাঝে থাক
আকাশের দিকে তাকিয়ে বলব
শুভ জন্মদিন
তুমি কি মিটি মিটি জ্বলবে?
যদি বিশাল সমুদ্রের সামনে
ঢেউদের খেলার মাঝে থাকো বলব
শুভ জন্মদিন
সমুদ্রের গর্জনে শুনব
কি তোমার বজ্রকণ্ঠ?
পাহাড়ের চূড়ায় যেখানে মেঘ
নীল আকাশে লুকোচুরি খেলে
তুমি কি ওখানে?
তাকিয়ে বলব
শুভ জন্মদিন
এক টুকরো সাদা মেঘ ভেসে যাবে
ওখানে কি তুমি?
আকাশে বাতাসে পাহাড়ে উপত্যকায়
তোমাকে খুঁজব, ডাকব
যে প্রতিধ্বনি হবে
ওখানে কি তুমি?
শুভ জন্মদিন।
শুভ জন্মদিন।
আবৃত্তির শেষাংশে দুই বোনই একইসঙ্গে কণ্ঠে তোলেন, ‘শুভ জন্মদিন, শুভ জন্মদিন।’