মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচাতে কম সময়ে বিশেষ হাসপাতল তৈরি করতে হলেও অর্থায়নের কোনো সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কিমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সংক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচাতে কীভাবে অর্থায়ন হবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্ব বিপদে আছে। আমরা ভাইরাস থেকে মুক্ত আছি আমরা বলতে পারব না। যাতে করে কম রাখা যায় সে কাজটি করতে হবে। আমাদের এখন অভিজ্ঞতা রয়েছে । চায়না যখন শুরু করেছিল তাদের অভিজ্ঞতা ছিল না।“
তবে নিরাপদ থাকতে হলে সবাইকে সবার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “ আমি আপনাদের আশস্ত করতে পারি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ফেইস করছে আর্থিক সক্ষমতা তাদের নেই, এটি ঠিক না। আমাদের আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যন্ত্রপাতি বা লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার হয়।”
নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধের। আর বিশ্বের ১৫৬টি দেশে ২ লাখের বেশি মানুষ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন; মৃতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
গত ডিসেম্বরের শেষে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে এ প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সেখানে মাত্র দশ দিনে অস্থায়ী হাসপাতাল খুলে রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
সেই প্রসঙ্গ টেনে অর্থমন্ত্রী বলেন, “চায়না যেভাবে হাসপাতাল করেছে, সে ধরনের কোনো হাসপাতাল যদি করতে হয় কম সময়ের মাঝে, স্পেসেফিক পারপাস বিল্ড হাসপাতাল, এগুলো করার জন্য আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী কখনো ‘না’ করবেন না অর্থায়ন করার জন্য।
“আমরাও সকলভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সাহায্য করব অর্থায়ন করে, যাতে তাদের কাজগুলো সুন্দরভাবে এবং প্রয়োজনীয়তার তুলনায় কোনোভাবে পিছিয়ে না থেকে করতে পারে।”
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আইএমএফ ৫০ বিলিয়িন ডলার অর্থ বরাদ্দ করেছে, সেই টাকা বাংলাদেশ পাবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আইএমএফ টাকা দিলে আমরাও পাব। অন্যরাও দেবে। কোনো আন্তর্জাতিক মহল থেকে সাহায্য সহযোগিতা পেলে অবহিত করা হবে।”