কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। শনিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে ভাইরাসটি। প্রাণ নিয়েছে ১১ হাজার ৮৭৬ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৭৩ জন। কিভাবে মারাত্মক ছোঁয়াচে এই রোগের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পারবে সেটা নিয়ে বিশ্বের সবাই উদ্বিগ্ন। ভাইরাসটি কিভাবে ছড়ায়? কোথায় কতক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে এটা নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার অন্ত নেই। করোনার ভয়াল থাবা থেকে নিরাপদ থাকতে এটা জানা খুব জরুরি।
মেডআরসিভ ডিপোজিটরি প্রকাশিত নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে, করোনাভাইরাস বাতাসে তিন ঘণ্টা এবং প্লাস্টিক এবং স্টেইনলেস স্টিলের মতো পৃষ্ঠে তিন দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এছাড়া তামার পৃষ্টদেশে চার ঘন্টা এবং কার্ববোর্ডে বা কাঠ জাতীয় পদার্থের উপরে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, এটি স্টেইনলেস স্টিল এবং প্লাস্টিকের যে কোনও জায়গায় দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
নতুন এই গবেষণার ফলাফলগুলি আমাদের এই ইঙ্গিত দেয় যে, কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস বাতাসে ছড়াতে পারে এটা বিশ্বাসযোগ্য এবং বাতাসে ভাইরাসটি কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন পৃষ্টদেশে ভাইরাসটি কয়েকদিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। যদিও বিষয়টি এখনও বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়নি বলে গবেষকরা গবেষণায় লিখেছেন।
ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত অপর একটি গবেষণা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল যে, কোভিড-১৯ অন্যান্য করোনভাইরাস যেমন সার্স বা মার্সের মতো হয় এবং এটি ধাতব, কাঁচ এবং প্লাস্টিকের মতো পৃষ্ঠে নয় দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। ফক্স নিউজের আগের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছিল, এই ধরণের ফ্লু ভাইরাস বিভিন্ন পৃণ্ঠে ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত বাস করতে পারে।
গবেষণা পত্রটি জার্নাল অব হসপিটাল ইনফেকশনে প্রকাশিত হয়েছিল। করনাভাইরাস ৬২-৭১ শতাংশ ইথানল, ০.৫ শতাংশ হাইড্রোজেন পারক্সাইড বা ০.১ শতাংশ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট সমন্বিত জীবাণুনাশকগুলিতে এক মিনিটের বেশি সক্রিয় থাকতে পারে না। এছাড়া ০.০৫-০.২ শতাংশ বেঞ্জালকোনিয়াম ক্লোরাইড বা ০.০২ শতাংশ ক্লোরহেক্সিডিন ডিগ্লুকোনেট যুক্ত অন্যান্য স্যানিটাইজারে কম কার্যকরি। এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের কোন কার্যকর প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি, তবে বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে মানবদেহে করোনাভাইরাসের টিকা পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।