দীর্ঘ পচিঁশ মাস পর দুই শর্তে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পেলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। মুক্তি পেয়ে তিনি রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা’য় এসেছেন। এই বাসা থেকেই সর্বশেষ বেরিয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী। এরপর আদালত থেকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বুধবার (২৫ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে তাকে বহনকারী গাড়ি গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের ১১ নম্বর বাসভবন ‘ফিরোজা’য় পৌঁছায়। এসময় সেখানে আগে থেকেই জড়ো হওয়া নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিন কারা অধিদফতর থেকে চিঠি পাওয়ার পর বিকেল ৪টার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর তিনি বিএসএমএইউ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে রাখা গাড়িতে ওঠেন। সেখান থেকে খালেদাকে বহনকারী গাড়ি তার বাসভবন ‘ফিরোজা’র উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
এর আগে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে খালেদা জিয়ার স্বজনরা হাসপাতালে পৌঁছেন। এ সময় খালেদা জিয়াকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কয়েকটি গাড়িও প্রবেশ করে।
খালেদা জিয়াকে বাসায় নিতে তার ভাই শামীম ইস্কান্দার এবং বোন বেগম সেলিমা ইসলাম হাসপাতালে যান। সঙ্গে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মী হাসপাতালে ভিড় করেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে দুই শর্তে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তাকে বাসায় থাকতে হবে। তিনি দেশের বাহিরে যেতে পারবেন না।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি খালেদা জিয়া। বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার দুই শর্তে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।