রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার চারটি হরিণ খেয়ে ফেলেছে ক্ষুধার্ত ৫টি কুকুর। শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে সকালেই হরিণগুলোর দেহের অবশিষ্ট অংশ মাটিচাপা দেয়া হয়। কুকুরের পেটে যাওয়া চারটি হরিণের তিনটিই বাচ্চা। একটি সেগুলোর মা।
রাজশাহীর এই চিড়িয়াখানাটি পরিচালনা করে সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর কুমার পাল জানান, গত তিন মাসে হরিণের ১৫টি বাচ্চা জন্ম নিয়েছিলো। শেডে মোট হরিণ ছিলো ৭৫টি। কুকুরে খাওয়ার পর এখন হরিণের সংখ্যা ৭১টি।
তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার রাত দুইটা পর্যন্ত ওই শেডের পাশে শ্রমিকরা কাজ করেছে। করোনার কারণে অধিকাংশ কর্মচারীর ছুটি ছিলো। তাই ঠিকমত তদারকি হয়নি। ভোররাতের দিকে ৫টি ক্ষুধার্ত কুকুর শেডে ঢুকে যায়। করোনার কারণে খাবার না পেয়ে কুকুরগুলো ক্ষুধার্ত ও হিংস্র হয়ে উঠেছিলো।
তিনি জানান, ভোরে শ্রমিকরা শেডের কাছে গিয়ে ভেতরে ৫টি কুকুর দেখতে পায়। পাশেই চারটি হরিণের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে বিষয়টি সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়।
সমর কুমার পাল বলেন, লুকোচুরির ঘটনা ঘটনা ঘটেনি। এটা একটি দুর্ঘটনা। আমাদের ধারণা, ক্ষুধার্ত কুকুরগুলো প্রথমে বাচ্চাগুলোকে আক্রমণ করেছিল। তাদের বাঁচাতে গিয়েছিল মা হরিণটি। তখন মাকেও আক্রমণ করেছে কুকুরগুলো। এ ঘটনায় চিড়িয়াখানার তত্ত্বাবধায়ককে একটি লিখিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই তিনি প্রতিবেদন দেবেন। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।