সুন্দরবনে টানা ২০ দিনের শুটিং শেষে ঢাকায় ফিরে স্বেচ্ছায় ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকছেন সিয়াম-পরীমনিসহ ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ চলচ্চিত্রের ১২০ জন অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলী।
রোববার সন্ধা ৬টা ১০ মিনিটে তাদের বহনকারী লঞ্চটি সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের লালকুটি ঘাটে ভিড়েছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিএর পরিবহন পরিদর্শক নিয়াজ মোহাম্মদ খান।
শুটিং ইউনিটের প্রত্যেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরে টার্মিনাল ত্যাগ করেন বলে জানান তিনি।
টার্মিনাল থেকে বাড়ি ফিরে সবাইকে দুই সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার আহ্বান জানান ছবির পরিচালক আবু রায়হান জুয়েল।
তিনি বলেন, “লঞ্চে সবাইকে মাস্কসহ সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। সবাই সুস্থ অবস্থায় ঢাকায় ফিরেছি; করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সতকর্তা হিসেবে সবাইকে দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলেছি আমি।”
অভিনেতা সিয়াম আহমেদও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকছেন বলে নিশ্চিত করেছেন; কীভাবে আগামী ১৪ দিন কাটাবেন তার একটি পরিকল্পনাও করেছেন ফেলেছেন বলে জানান এ অভিনেতা ।
“প্রায় ২০ দিনের মতো বাইরে ছিলাম। এখন যেহেতু ঘরেই থাকছি তাই সৃজনশীল কিছু করার পরিকল্পনা করছি। পাশাপাশি শরীর চর্চার পরিকল্পনাও করেছি।”
এর আগে ১৪ মার্চ ছবির অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে সদরঘাট থেকে চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের লঞ্চটি সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশের সব রুটে যাত্রাবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণার পর সুন্দরবন থেকে ঢাকায় ফেরার পথে খুলনার দাকোপ এলাকায় কোস্ট গার্ডের বাধার মুখে মাঝ নদীতেই আটকে থাকে লঞ্চটি।
পরবর্তীতে তথ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বিশেষ ব্যবস্থায় তারা ঢাকায় ফিরেন বলে জানান ছবির পরিচালক।
সাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ অবলম্বনে সরকারি অনুদানে নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের সহ-প্রযোজনায় আছে বঙ্গবিডি।
২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’ নামে অনুদান পাওয়ার পর ছবির নাম বদলে ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ রাখা হয়।