ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বুধবার দুপুরে এক ব্যক্তি ফেসবুক লাইভে এসে দর্শকদের সামনে তার স্ত্রীকে খুন করেছেন। পরে টুটুল নামের ওই ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুরো ঘটনা জানান। পুলিশকে ঠিকানা দিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যেতে বলেন। পুলিশ পরে তাকে আটক করে ফেনী থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করে।
ফেনী থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক হনুফা আক্তার সমকালকে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে টুটুল তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে খুন করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, টুটুল ফেনীর বারাহীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ভূঁইয়া বাড়িতে থাকেন। বুধবার দুপুরে ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। পরিবারের কলহের কথা দুই মিনিট সবাইকে জানান। এ সময় টুটুল ঘরময় হেঁটে বেড়ান। মাঝে মাঝে তার কৃতকর্মের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। পরিবারের ‘অশান্তির’ বিষয় জানিয়ে মেয়ের দিকে খেয়াল রাখার কথা বলেন। এক পর্যায়ে ধারালো কিছু একটা নিয়ে স্ত্রীকে উপর্যুপরি আঘাত করেন। কিছুক্ষণ পর একজন নারীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় মাটিতে। কোপানো শেষ করে ‘আজ থেকে অশান্তি শেষ’ বলে ফেসবুক থেকে বিদায় নেন টুটুল।
পরে ভিডিওটি ফেসবুকে ঘোরে। অভিযুক্ত টুটুল অবশ্য হত্যাকাণ্ডের কিছু পরই ভিডিওটি নিজের ফেসবুক ওয়াল থেকে সরিয়ে নেন। কিন্তু এখনও অনেকেই ভিডিওটি শেয়ার করছেন এবং উল্লেখ করছেন, ডিলিট হবার আগেই তারা সেটি ডাউনলোড করেছেন।
পুলিশ জানায়, নিহত নারী এক সন্তানের মা ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতি ইউনিয়নের আকদিয়া গ্রামের সাহাবুদ্দিনের মেয়ে।