গাজীপুরে গুলিতে যুবককে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর দেহরক্ষী এএসআই কিশোর কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।
শনিবার গাজীপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইলিয়াস রহমানের আদালতে এই আবেদন করা হয় বলে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মীর রকিবুল হক জানান।
মীর রকিবুল হক জানান, দুপুরে কিশোরকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক মনিরুজ্জামান খান।
“আদালত মামলার পরবর্তী ধার্য্য দিনে রিমান্ড শুনানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে কিশোরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।”
বৃহস্পতিবার রাতে কালিয়াকৈর উপজেলার কুতুবদিয়া গ্রামে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের দেহরক্ষী কিশোর কুমারের গুলিতে মো. শহিদ নামে এক ব্যক্তি নিহত হন বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় শহিদের বন্ধু মহিম উদ্দিনগুলিবিদ্ধ হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত শহিদের স্ত্রী বাদী হয়ে শুক্রবার সকালে কিশোরের বিরেুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেছেন। একইদিন দুপুরে ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থেকে কিশোরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
কিশোরের স্ত্রীর সঙ্গে মহিমের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে কিশোর আড্ডা দেওয়ার জন্য মহিমকে ফোন করেন। মহিম তার বন্ধু শহিদকে নিয়ে কুতুবদিয়া গ্রামের একটি পতিত জমিতে গিয়ে কিশোরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। রাত পৌনে ১০টার দিকে কিশোর মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থলে গিয়ে পিস্তল দিয়ে অতর্কিতে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। মহিম গুলিবিদ্ধ হয়েও বেঁচে যান। নিহত হন তার বন্ধু শহিদ। বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানার পুলিশ গিয়ে পেটে গুলিবিদ্ধ মহিমকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত মো. শহিদ (৩০) কালিয়াকৈর উপজেলার সীমান্তবর্তী টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের আজগানা গ্রামের সবুর উদ্দিনের ছেলে। গুলিবিদ্ধ মহিম উদ্দিন (৩২) একই এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে।
মন্ত্রীর গানম্যান এএসআই কিশোর কুমার (৩৫) কালিয়াকৈরের কুতুবদিয়া গ্রামের নারায়ণ কুমারের ছেলে। কিশোর ও হতাহতরা বন্ধু বলে পুলিশ জানিয়েছে।