প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সমগ্র বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। চীনের উহান শহর থেকে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাসটি বর্তমানে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। তবে এর মধ্যেও কিছুটা স্বস্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে। সারাবিশ্বে করোনা মহামারি এখন অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়েছে। ইতালি ও স্পেনকে কাঁদিয়ে সেখানেও আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। ইরানে এক সপ্তাহ ধরে মৃত্যুহার কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রেও আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। পরিস্থিতির অবনতি হয়নি ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যে। জার্মানি দাবি করেছে, পরিস্থিতি অনেকটাই তাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের সামনে দুঃসময়। করোনার সংক্রমণ বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে আরও সময় লাগবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিটি দেশেই দু-একজনের মাধ্যমে এ ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়েছিল। পরে ধাপে ধাপে বিস্তার ঘটিয়ে মহামারি আকার ধারণ করে। সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছার পর আবার ধাপে ধাপে সংক্রমণ হ্রাস হয়েছে। অনেক দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। আবার কোনো কোনো দেশে কমতে শুরু করেছে।
দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটতে দেখা গেছে। তবে এপ্রিলের শুরু থেকে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। এক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী চিত্র দেখা যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরও ৩১২ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। একই সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ৪৫৬ জনে পৌঁছল। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে দেশে করোনার বিস্তার, সংক্রমণ ও মৃত্যুর সার্বিক ঘটনা এবং ভবিষ্যতে কী পরিস্থিতি হতে পারে, সে সম্পর্কে রোগতত্ত্ববিদ, ভাইরোলজিস্ট, জনস্বাস্থ্যবিদসহ সংশ্নিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছে। তারা বলেছেন, আগামী মে মাসের শেষে অথবা জুনের শুরুতে দেশে এ ভাইরাসটি বিস্তারের পিকটাইম হতে পারে। অর্থাৎ ভাইরাসটি যে হারে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে মে মাসের শেষ থেকে জুন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
বাংলাদেশে করোনার পিকটাইম সম্পর্কে জানতে চাইলে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘প্রথম কথা হলো, বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু বলা অত্যন্ত কঠিন। কারণ বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং এ ভাইরাসটি সম্পর্কে আমরা এত সীমিত জানি যে, সরাসরি উত্তর দেওয়া কঠিন। আমরা যে পূর্বাভাস দিয়েছি সেটি পরিবর্তন হতে পারে। প্রতিদিনই কিন্তু পূর্বাভাস পরিবর্তন হয়। ভাইরাসের অগ্রগতি ধীরগতি করার জন্য আমরা কাজ করছি। তবে এটি অগ্রসর হবে। এটি ধীরগতিতে যাতে বাড়ে, সে চেষ্টাই করছি। তাহলে এটির ব্যবস্থাপনা করতে কিছুটা সময় পাওয়া যাবে।’
ডা. ফ্লোরা বলেন, ‘সংক্রমণের হার দেখলে একটি বিষয় পরিস্কার হয় যে, অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে না। ধীরে ধীরে বাড়ছে। এতে আমাদের ধারণা হয়, আগামী মে মাসের শেষ অথবা জুন মাসে এটি পিক হতে পারে। তবে এটি শতভাগ নিশ্চিত নয়। এখনকার যে তথ্য-উপাত্ত আমাদের হাতে আছে, তার আলোকে এটি বলছি। পরিস্থিতি পাল্টে গেলে এটার পরিবর্তন হতে পারে। এ ভাইরাসটির ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত কোনো দেশের পূর্বাভাসই কিন্তু সঠিক হয়নি। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই আমাদের পূর্বাভাস দিতে হয়।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, করোনার সংক্রমণ ও বিস্তারের বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সংক্রমণ শুরুর ৪৫ দিন পর ইতালিতে, ৫০ দিন পর স্পেনে এবং ৫৫ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রে এটি মহামারি আকার ধারণ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে ৪৩ দিনের মাথায়ও সে রকম পরিস্থিতি হয়নি। কোন দেশে কীভাবে বিস্তার ঘটবে সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। আর আমাদের সমস্যাটি তো অন্য জায়গায়। দেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু লকডাউন করা হয়নি। এ লকডাউনের উদ্দেশ্য হলো- সময় গণনা করা। অর্থাৎ লকডাউন করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা। সারাদেশের মানুষ ঘরে আটকে থাকলে পরিস্থিতি কী ঘটে এবং তার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া। আমাদের তো লকডাউনই হয়নি। সারাদেশের মানুষ নিজের ইচ্ছে মতো ঘোরাঘুরি করছে। হাজার হাজার মানুষ দেখলাম জানাজায় অংশ নিল। তাহলে লকডাউনটা হলো কোথায়? এ অবস্থা চলতে থাকলে কবে ভাইরাসটির পিকটাইম হবে সেটি অনুধাবন করা কঠিন হবে।
ডা. মোজাহেরুল হক আরও বলেন, শুরু থেকেই স্বাস্থ্য বিভাগ পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পারেনি। এ জন্য তারা ভুল ও সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করেছে। আইইডিসিআরের কাজ তো নমুনা পরীক্ষা ও সংবাদ সম্মেলন করা নয়। আইইডিসিআরের কাজ সার্ভিলেন্স করে রোগতাত্ত্বিক বিশ্নেষণ করা এবং স্বাস্থ্য বিভাগ সে অনুযায়ী পরিকল্পনা নির্ধারণ করবে। অথচ আইইডিসিআর থাকল নমুনা পরীক্ষা নিয়ে। এককভাবে নমুনা পরীক্ষা করার কারণে কম পরীক্ষা হয়েছে। এতে সংক্রমণের সঠিক সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। ওই নমুনা পরীক্ষা সারাদেশে বিস্তৃত করে সেখান থেকে পাওয়া পজিটিভ কেসগুলো আইসোলেশন এবং কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং- এ কাজটি আইইডিসিআরের। কিন্তু সেটিই তো তারা করল না। এতে সার্ভিলেন্স ও রোগতাত্ত্বিক গবেষণা হয়নি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যুর যে পরিসংখ্যান জানানো হয়, তা পর্যালোচনা করলে আইইডিসিআর পরিচালক যা বলেছেন, সেটি ঠিক আছে। অর্থাৎ মে মাসের শেষ অথবা জুনে ভাইরাসটির ‘পিকটাইম’ হতে পারে। কিন্তু এখন যে ‘পিকটাইম’ চলছে না সেটি আমরা বুঝব কীভাবে? গতকাল সর্বোচ্চ আড়াই হাজারের কিছু বেশি মানুষের পরীক্ষা করে ৩১২ জন শনাক্ত করা গেছে। এত অল্প সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা করে তো পিকটাইম চললেও তা কোনোদিনই বোঝা যাবে না। ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেনের দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রতিদিন এসব দেশে হাজার হাজার মানুষ শনাক্ত হচ্ছেন। আমাদের দেশে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার পরীক্ষা করলেই বলা যাবে, সত্যিকার পিকটাইম কোনটি হতে পারে। আমাদের তো সেটি করা হচ্ছে না।
প্রায় একই বক্তব্য দিয়েছেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান এ পরিস্থিতির জন্য আইইডিসিআর এককভাবে দায়ী। কারণ শুরুতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়টি তারা নিজেদের হাতে কুক্ষিগত করে রেখেছিল। পরীক্ষা কম হওয়ার কারণে সংক্রমণের সঠিক চিত্র অনুধাবন করা যায়নি। এখনও যে পরিমাণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে তাতে সংক্রমণের সঠিক চিত্র আসছে না।
ডা. জাহিদ আরও বলেন, সারাদেশের মধ্যে এখন রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীতে সংক্রমণ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ চারটি জেলায় কারফিউ জারি করে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হবে। এরপর সব জনবল নিযুক্ত করে এ এলাকাগুলোতে বসবাসকারী সব মানুষের পরীক্ষা করতে হবে। যাদের পজিটিভ শনাক্ত হবে, তাদের আইসোলেশনে নিয়ে যেতে হবে। এ ভাইরাসটি প্রতিরোধের মূল উপায়ই তো টেস্ট। এর মানে হলো- পরীক্ষা করে পজিটিভ কেসগুলোকে আইসোলেশনে নেওয়া এবং কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করে অন্যদের কোয়ারেন্টাইন করা। এ কাজটি যত দ্রুত করা যাবে, ততই এই ভাইরাসটি প্রতিরোধ করা যাবে।
‘সামান্য ভুলে মহামারি’ :এপ্রিলের শুরুর দিকে জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র ‘বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি :প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন ও সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, সারাবিশ্বের মতোই বাংলাদেশে এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া রোধ করার জন্য দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এটি দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়বে। জনগণের প্রতি প্রতিরোধমূলক সব ব্যবস্থা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার, জাতিসংঘের সংস্থা, নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো দেশব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও জোরদার করার জন্য কিছুটা সময় পাবে। আর এর ফলে বাংলাদেশ এ মহামারি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পারবে বলে আশা করা যায়।
বাংলাদেশের দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, এখানে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা দুর্বল, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থাই নেই। কভিড-১৯ সংক্রমিত হলে অন্যান্য রোগীর চিকিৎসাও বাধাগ্রস্ত হবে। রোগীর ঘনত্বের তুলনায় দক্ষ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীর অভাব বাংলাদেশে প্রবল। এ ছাড়া সংক্রমণ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত অনুশীলন ও দক্ষতার অভাব, ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামের (পিপিই) অপ্রাচুর্যতা, রোগীর বহুল ঘনত্ব মিলিয়ে করোনা মোকাবিলা করা বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠিন হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
জাতিসংঘ তথ্য কেন্দ্র জানায়, সরকারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা ইতিবাচক হলেও দ্রুতই তা নেতিবাচক হতে দেরি হবে না। যদি সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ কঠোরভাবে প্রয়োগ করা না হয়, সামান্য ভুলে মহামারি তীব্র হারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই মাহবুব বলেন, জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে সঠিক চিত্র ফুটে উঠেছে। করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে? সর্বত্রই তো অবস্থাপনা। সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করে পরিস্থিতিকে প্রতিদিনই জটিল করে তোলা হচ্ছে। কোনো কিছুই তো সঠিক পন্থায় হচ্ছে বলে মনে হয় না। এখনও প্রতিদিন মাত্র দুই-আড়াই হাজার টেস্ট করা হচ্ছে। এটি হওয়া উচিত ছিল ২৫ থেকে ৩০ হাজার। আবার সরকার ছুটি ঘোষণা করে বসে থাকল। জাতীয়ভাবে লকডাউন করল না। স্থানীয় প্রশাসন লকডাউন করছে। সেটিও তো মানা হচ্ছে না। মানুষ সংক্রমিত এলাকা থেকে দল বেঁধে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ছে। এতে ভাইরাসটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আক্রান্ত আরও ৩১২, মৃত্যু ৭ :দেশে নতুন করে আরও ৩১২ জনের শরীরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে সাতজনের। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ৪৫৬ জনে পৌঁছল। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নয়জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ নিয়ে মোট ৭৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল রোববার ভার্চুয়াল বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।
মন্ত্রীর ব্রিফিংয়ের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ব্যক্তিদের মধ্য পাঁচজন পুরুষ এবং দু’জন নারী। এর মধ্যে তিনজন ঢাকার এবং চারজন নারায়ণঞ্জের বাসিন্দা। শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের ২৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, ২১-৩০ বছর বয়সের ২২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং বাকিরা কমবেশি অন্যান্য বয়সের মধ্যে আছেন। নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ৭৪৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা হয়েছে দুই হাজার ৬৩৪ জনের। নতুন সংক্রমিতদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ পুরুষ এবং নারী ৩৪ শতাংশ।