থমকে যাওয়া ক্রিকেটকে গতি দিতে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলার পক্ষে মত দিচ্ছেন অনেকে। সেই দলে নেই শচিন টেন্ডুলকার। ভারতীয় এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের মতে, দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা ক্রিকেটারদের জন্য হবে হতাশাজনক।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার আগে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ড একটি ওয়ানডে খেলেছিল দর্শকশূন্য মাঠে। ক্রিকেটকে মাঠে ফেরাতে অনেকেই ভাবছেন আপাতত এটাই একমাত্র পথ। বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া সাক্ষাৎকারে টেন্ডুলকার জানালেন তার ভাবনা।
“দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে যারা খেলবে সেই ক্রিকেটারদের জন্য হবে হতাশার।… আমি যদি একটি ভালো শট খেলি এবং দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেটি শক্তি জোগায়। একইভাবে, একজন বোলার যদি কোনো আগুনে স্পেল করে এবং দর্শক প্রতিক্রিয়া দেখায়, তাহলে ব্যাটসম্যানের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরি হয়, তারও এটির জবাব দিতে হবে।’
“যে কোনো খেলার অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো দর্শক। তাদের উৎসাহ, আপনার পক্ষে-বিপক্ষে গলা ফাটানো খেলাধুলার ক্ষেত্রে অপরিহার্য।”
ক্রিকেট মাঠে ফিরলে অনেক কিছুই হয়তো আপাতত আগের মতো থাকবে না বলে মনে করছেন টেন্ডুলকার।
“আমার মনে হয়, লালা ব্যবহারের (বল উজ্জ্বল করার জন্য) ক্ষেত্রে খেলোয়াড়রা কিছু সময়ের জন্য চিন্তিত থাকবে। এটি তাদের মাথায় ঘুরপাক খাবে। মারাত্মক ভাইরাসটি থাকা পর্যন্ত সামাজিক দূরত্বের ব্যাপারটা মেনে চলতে হবে।”
“হাই-ফাইভ ও সতীর্থকে আলিঙ্গন করা কিছু সময়ের জন্য এড়িয়ে যেতে হবে। এটিই আমার বিশ্বাস। শুরুতে তারা সচেতন থাকবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবে।”
দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পক্ষে নন ইমাম-উল-হকও। পাকিস্তানের তরুণ এই ওপেনারের মতে, এটা হবে অদ্ভুত। তার শঙ্কা ফাঁকা মাঠে ক্রিকেটের সৌন্দর্য অনেকটাই হারিয়ে যাবে।
“দর্শক ছাড়া ক্রিকেট আমার কাছে অদ্ভুত মনে হয়। যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হয়, তাহলে টুর্নামেন্টে আমি দর্শক দেখতে চাই।”