‘অর্থনীতিকে বাঁচাতে’ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে শিল্প-কারখানা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দেশের ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও অর্থনীতিবিদদের একটি অংশ।
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে শনিবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত এক আলোচনা সভা থেকে এ দাবি আসে।
এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, “একটি কঠিন সময় পার করছি আমরা। লাখ লাখ শ্রমিকের জীবিকা ও দেশের অর্থনীতিকে বাঁচানোর জন্য সীমিত আকারে হলেও পর্যায়ক্রমে শিল্প-কারখানা খুলে দিতে হবে।”
চীন, ভিয়েতনাম, ভারত, কম্বোডিয়ার মত প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো এ মুহূর্তে তাদের রপ্তানিমুখী শিল্প খুলে দেওয়ার বিষয়ে কী ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা পর্যালোচনা করে বাংলাদেশেও একই পথ অনুসরণ করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
নতুন ধরনের করোনাভাইরাস বিশ্বে মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়ায় গত ২৬ মার্চ থেকে বেশিরভাগ অফিস-আদালত এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখেছে সরকার। পাশাপাশি সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল সরকারি ভাষায় এই ‘ছুটির’ মেয়াদ ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সেই আদেশে বলা হয়, “ঔষধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পসহ সকল কলকারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চালু রাখতে পারবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে শিল্প-কারখানা, কৃষি এবং উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো ও পরিবহন পর্যায়ক্রমে উন্মুক্ত করা হবে।”
গত ২০ এপ্রিল এক ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছিলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য নির্দেশিকা কঠোরভাবে মেনে শ্রমিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারলে রোজার মাসের মধ্যে সীমিত আকারে কিছু কারখানা চালু করা যেতে পারে।
তৈরি পোশাক খাতের প্রতিযোগী দেশগুলোর উদাহরণ তুলে ধরে কিছু শ্রমিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে মে মাসের শুরু থেকে কিছু কারখানা চালুর বিষয়ে প্রস্তাবিত একটি কর্মকৌশল সম্প্রতি সরকারের কাছে জমা দেয় বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন।
তবে এর বিরোধিতা করে ১১টি শ্রমিক সংগঠনের জোট গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন বলছে, বিশ্বজুড়ে চলমান লকডাউনের মধ্যে যেখানে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশই নেই, সেখানে মালিকদের কারখানা খোলার তোড়জোড় গ্রহণযোগ্য নয়।
করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য সরকার ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল গঠন করেছে। যে সব কারখানা সচল আছে সে সব কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের চলতি এপ্রিল, মে এবং জুন মাসের বেতন-ভাতা ওই তহবিল থেকে দেওয়ার কথা।
প্রণোদনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফজলে ফাহিম বলেন, “এফবিসিসিআই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে।”
মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে এই আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে দেশের শিল্প কারখানা ‘বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্তের আলোকে’ পর্য়ায়ক্রমে খুলে দিতে হবে।
“আমাদের অর্থনীতির কী পরিমাণ ক্ষতি হবে এবং আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কতটুকু আছে, সেসব বিষয় পর্যালোচনা করে অতি সতর্কতার সাথে কলকারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
তিনি বলেন, “সারা পৃথিবী ঝুঁকির মধ্যে। জার্মানি, ফ্রান্সের মত দেশ করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে থাকার পরও প্রধান শিল্প খাত ধীরে ধীরে খুলে দিচ্ছে। আমাদেরকেও সেই পদক্ষেপ নিতে হবে।”
সেক্ষেত্রে এফবিসিসিআইকে একটি কৌশলপত্র তৈরি করে সরকারকে দেওয়ার আহ্বান জানান সালমান।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে ব্যবসায়ীরা যাতে কোনো জরিমানা ছাড়াই ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পণ্য খালাস করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে হবে। শিপিং এজেন্টদের অফিস দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকায় কাগজ তৈরিতে দেরি হচ্ছে এবং তাতে জরিমানা গুণতে হচ্ছে ব্যব্যসায়ীদের। শিপিং অফিস দুপুর ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা রোজার মাসে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করে থাকে। কিন্তু এবার সে সুযোগ নেই।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে কীভাবে তাদের ব্যবসা পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া যায় সে ব্যাপারে একটি কৌশল নির্ধারণ করতে এফবিসিসিআইয়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, “পোশাক শিল্পের ৮৬৫টি কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি আছে। এ পর্যন্ত ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্ডার বাতিল হয়েছে। আমাদের উপর কারখানা খুলে দওেয়ার চাপ আছে। অনেকের অর্ডার আছে।”
এলাকাভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিয়ে, দিনক্ষণ বেঁধে, সীমিত আকারে, স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করে কারখানা খুলে দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে সবার সহযোগিতা চান রুবানা।
তিনি বলেন, “প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোতে যদি অর্ডার চলে যায়, তাহলে তা ফেরত আনা কঠিন হবে। তাই সীমিত শ্রমিক নিয়ে সীমিত আকারে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।”
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, শিল্প ও দেশের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাকে লাল, হলুদ ও সবুজ রঙে চিহ্নিত করে বিভাজন করা জরুরি। সেক্ষেত্রে এফবিসিসিআই, বিজিএমই ও অন্যান্য খাতকে সঙ্গে নিয়ে খাতভিত্তিক হেলথ প্রটোকল নির্ধারণ করে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
“সরকার এই পর্যন্ত যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন তা প্রশংসিত, কিন্তু এর পরিমাণ যথেষ্ট নয়, আরো বাডাতে হবে।”
অন্যদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, আবদুল মাতলুব আহমাদ, এ কে আজাদ, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মেজাম্মেল বাবু, ডিবিসি টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মন্জুরুল ইসলাম ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এবং সিলেট, খুলনা, রংপুর, সুনামগঞ্জ ও জামালপুর চেম্বারের নেতারা আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।
ঝুঁকির মধ্যেই খুলছে চট্টগ্রামের শতাধিক কারখানা
ইপিজেড কর্তৃপক্ষগুলো বলছে, বিদেশি ক্রেতাদের কার্যাদেশ রয়েছে এবং রপ্তানি অব্যাহত রাখার জন্য কারখানাগুলো খোলার দিকে যাচ্ছে। ‘যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ রোববার থেকে সীমিত পরিসরে কাজ শুরু করবে এসব কারখানা।
এতে শ্রমিক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংক্রমণ ঝুঁকি ‘তৈরি হবে না’ বলে তারা দাবি করলেও জেলা সিভিল সার্জন তাতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না। যে কোনো ধরনের জমায়েতই নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করবে বলে সাবধান করেছেন তিনি। কারখানা চালু করতে হলে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলেছেন এই চিকিৎসক।
চট্টগ্রামের তিন ইপিজেডের বাইরেও বিজিএমইএ’র আওতাধীন চট্টগ্রামের বেশ কিছু কারখানাও খুলতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেপজার অধীনে চট্টগ্রাম ও কর্ণফুলী ইপিজেড রয়েছে। এর বাইরে আনোয়ারায় রয়েছে ইয়ংওয়ান গ্রুপের মালিকানাধীন কোরিয়ান ইপিজেড।
চট্টগ্রাম ইপিজেডে তৈরি পোশাক, তাঁবু, ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য, ফেব্রিক্স, জুতাসহ বিভিন্ন পণ্যের কারখানা রয়েছে ১৫৮টি এবং এতে শ্রমিক সংখ্যা দুই লাখের মতো। কর্ণফুলী ইপিজেডে ৪১টি কারখানার শ্রমিক রয়েছে প্রায় ৭৬ হাজার। অপরদিকে আনোয়ারার কোরিয়ান ইপিজেডে ২২টি কারখানায় শ্রমিকের সংখ্যা ২৫ হাজারের মতো।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সরকারি ছুটির মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ার পর চট্টগ্রাম ও কর্ণফুলী ইপিজেড দুটির ৬৯টি কারখানা লে অফের জন্য আবেদন করেছিল।
চট্টগ্রাম ইপিজেডের জিএম খুরশিদ আলম শনিবার বলেন, “বিভিন্ন কারখানা রোববার থেকে আংশিকভাবে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। শ্রমিকদের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনেই কারখানা পরিচালনা করতে বলা হয়েছে।”
তিনি বলেন, রোববার চট্টগ্রাম ইপিজেডের ৭০টির মতো কারখানা সীমিত পরিসরে চালু হতে পারে। প্রতিটি কারখানা ২০ থেকে ২৫ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু করবে।
“কারখানাগুলো আমাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাজ শুরুর কথা জানিয়েছে। এখানকার দুই লাখ শ্রমিকের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ হাজারের মতো আসতে পারে।”
চট্টগ্রাম ইপিজেডের আশপাশে বসবাসরত শ্রমিকদের কারখানা কর্তৃপক্ষ আসার জন্য উৎসাহিত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যবিধি দিয়ে তা কঠিনভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
‘লে-অফ’র জন্য আবেদন করা কারখানাগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই আবার খোলার বিষয়ে যোগাযোগ করেছে বলে জানান চট্টগ্রাম ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ইপিজেডের জিএম মশিউদ্দিন বিন মেজবাহ জানান, তাদের ইপিজেডের ২০টির মতো কারখানা রপ্তানি কার্যাদেশ থাকায় আংশিকভাবে খোলার জন্য যোগাযোগ করেছে।
“পুরোপুরিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার গাইডলাইন তাদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কারখানা মালিকরা উদ্যোগ নিয়েছেন কি না তা ইপিজেড কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।”
অপরদিকে চট্টগ্রামের একমাত্র বেসরকারি ইপিজেড কোরিয়ান ইপিজেড পুরোপুরিভাবে রোববার থেকে খুলছে বলে জানান এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মুশফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, “আমাদের সব কারখানা খুলছে। সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কারখানা পরিচালনা করা হবে।”
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে শ্রমিকদের আসা-যাওয়া এবং কাজের ক্ষেত্র ঝুঁকি তৈরি করবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের কারখানাগুলোর ৯৩ শতাংশ শ্রমিকই আশপাশের এলাকার। এখানে থার্মাল স্ক্যানার রয়েছে, শ্রমিকরা মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরে কাজ করবে।”
কারখানায় শ্রমিকদের ‘ন্যূনতম দূরত্ব’ মানার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে মুশফিকুর রহমান জানান।
এছাড়া তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র অন্তর্ভুক্ত অনেক কারখানা রোববার থেকে চালু হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রথম সহ-সভাপতি এম এ সালাম।
বিজিএমইএ’র অধীন সাতশ’র মতো কারখানা থাকলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের আগে সচল ছিল ৩২৬টি।
এর মধ্যে কাজ থাকায় বর্তমানে ৩০ থেকে ৩৫টি পোশাক কারখানা চালু রয়েছে জানিয়ে এম এ সালাম বলেন, “রোববার থেকে আরও কিছু কারখানা তাদের কার্যাদেশ টিকিয়ে রাখার জন্য খুলতে পারে বলে জেনেছি। তবে সব কারখানাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি-ব্যবস্থা মানার জন্য বিজিএমইএর পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে কারখানা খুললে তা ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী।
তিনি বলেন, “যত জমায়েত হবে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকবে। এ ধরনের ক্ষেত্রে যদি খোলা রাখতেই হয় তাহলে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব অবশ্যই মানতে হবে। যাদের করোনাভাইরাসের মতো উপসর্গ থাকবে তারা কাজে যেতে পারবে না এবং ঘরে থাকতে হবে।”
এছাড়া কারখানাগুলোতে নিয়মিত চেকআপের ব্যবস্থা রাখা উচিত বলে মত দেন সিভিল সার্জন।