সরকারের কোষাগারের টাকা জনগণের দুঃসময়ে ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সোমবার নগরীর দলীয় কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আজকে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। করোনাভাইরাসের কারণে যেখানে দিনে ১৫ হাজারের অধিক টেস্ট হওয়ার কথা সেখানে হচ্ছে মাত্র তিন হাজার। গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী টেস্টিং কিট দিয়ে সরকারকে সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছে। কিন্তু তাকে সে কাজটি করতে দেওয়া হচ্ছে না।
“সরকার চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত পিপিই দিতে পারেনি। আমরা ড্যাব ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে পিপিই দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছি। বিএনপি’র পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের সহায়তার জন্য ৮৭ হাজার কোটি টাকার একটা অর্থনৈতিক প্যাকেজ দিয়েছি।’’
সরকারের পক্ষ থেকে যে প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে সেখানে ব্যাংক ঋণের মাধ্যমে শুভঙ্করের ফাঁকি দেয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, “এই ব্যাংক ঋণ দিয়ে সাধারণ মানুষের কোনো উপকার হবে না। যারা সরকারের অংশ হিসেবে কাজ করছে তারাই এই ব্যাংক ঋণ পাবে।
“এই সার্বিক ঋণের মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। এখানে সরকারের টাকা হচ্ছে জনগণের টাকা। সরকারের কোষাগারে যে টাকা আছে সেটা বাংলাদেশের জনগণের টাকা। এই টাকা জনগণের দুঃসময়ে ব্যবহার করতে হবে।”
চট্টগ্রামে বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের পরিবারের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এসব ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়।
আমীর খসরু বলেন, “এখন বাংলাদেশের মানুষের জীবন-মরণ সমস্যা। এই কঠিন সময়ে কে কোন দল করে তা দেখে যদি দেশ চালানো হয় এর থেকে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না।”
বিএনপি টাস্ক ফোর্স গঠনের মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যমত গঠনের জন্য বার বার বলে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কিন্তু সরকার কেন শুনছে না সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা সবাইকে নিয়ে একতাবদ্ধভাবে থাকতে চাই।”
সাবেকমন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, “করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগে জাতি এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। দিনমজুর, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও সর্বস্তরের মানুষগুলো এখন খুব কষ্টের মধ্য দিয়ে তাদের দিন পার করছে। বিএনপি জনগণের দল হিসেবে জনগণের দুঃখের দিনে এর সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে পড়েছে।
“যারা খেতে পারছে না তাদের সহায়তা করতে বিএনপি এগিয়ে এসেছে। বিএনপি জনগণের আস্থা নিয়ে রাজনীতি করে বিধায় তারা মানুষের এই দুর্যোগে ঘরে বসে থাকতে পারেনি। আমরা আমাদের সাধ্যমত এটা চালিয়ে যাব।”
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের সঞ্চালনায় এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র
সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম প্রমুখ।