করোনা ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ

Goalundo-Feri-Ghat-News-Pho-samakal-5ea85d12a353f

করোনাভাইরাসের ভয় উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থল ঢাকায় ছুটছেন মানুষ। মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে মানুষের উপচেপড়া ভিড় ছিল। গাদাগাদি করে ফেরিতে নদী পার হন হাজার হাজার মানুষ।

জানা যায়, ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গার্মেন্টস কারখানা খোলা থাকার সিদ্ধান্তে দৌলতদিয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষের ঢল শুরু হয়। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে কর্মস্থলে ছুটছেন তারা।

ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। তবে এ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহি ট্রাকসহ জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে সীমিত আকারে ৫টি ফেরি সচল রাখা হয়েছে। কিন্তু ফেরি সচল থাকায় বিভিন্ন জরুরি পণ্যবাহি যানবাহনের সঙ্গে কর্মস্থলে ফেরা মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং স্বাস্থ্য বিধি না মেনে গাদাগাদি করে নদী পার হচ্ছেন। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে।

ঢাকামুখী যাত্রীরা বলেন, পেটের ক্ষুধার কাছে করোনাভাইরাস কিছুই না। জীবনের ঝুঁকি থাকলেও যেতে হবে কর্মস্থলে, না যেতে পারলে থাকবে না চাকরি।

দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুন্নাফ বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া থেকে কোনো যাত্রী যাতে নৌযানে পারাপার হতে না পারেন- আমরা সেই চেষ্টা করছি। কিন্তু হঠাৎ করেই মঙ্গলবার সকালে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায়। লোকবল কম থাকায় যাত্রী পারাপার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, সরকারী আদেশে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। নৌপথে শুধুমাত্র এ্যাম্বুলেন্স ও পন্যবাহি ট্রাকসহ জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্য সীমিত আকারে ফেরি সচল রাখা হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে মানুষের চাপে আমরা ঠিকমত পণ্যবাহি যানবাহন পারাপার করতে পারছি না। প্রতিটি ফেরিতেই মানুষের উপচেপড়া ভিড়। তারা বিভিন্ন গার্মেন্টস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মী। করোনা ঝুঁকি থাকলেও ফেরিতে এভাবে পারাপার ঠেকানো সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Pin It