নমুনা পরীক্ষায়ও বিপদ

Untitled-29-samakal-5eab26417d670

কিছুদিন ধরে জ্বর-শ্বাসকষ্টে ভুগছেন সরকারি বিদ্যুৎ ভবনের কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন। করোনার উপসর্গ মনে হওয়ায় নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রায় এক সপ্তাহ আগে তিনি জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের হটলাইনে ফোন করেন। মোশাররফ হোসেনের শারীরিক লক্ষণ-উপসর্গের কথা শোনার পর আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়, তিনি করোনায় আক্রান্ত। তাকে নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি খাবার গ্রহণের বিষয়েও কিছু পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, আইইডিসিআর থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে কেউই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

মোশাররফ হোসেনের সহকর্মী জয় বালাও জ্বর-শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। তিনি আইইডিসিআরে ফোন করেননি। পরীক্ষার জন্যও কোথাও যাননি। জয় বালার বক্তব্য, তাদের রামপুরা শাখার এক সহকর্মী করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন। নিজের চেষ্টায় পরীক্ষা করাতে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত সাবেক এক মন্ত্রীর সহায়তায় আইইডিসিআরে নমুনা পরীক্ষার সুযোগ পেয়েছিলেন। তার অপর সহকর্মী মোশাররফ হোসেনও নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করছেন। এ অবস্থায় তিনি নমুনা পরীক্ষার জন্য কাকে বলবেন? তদবির ছাড়া তো সুযোগ মেলে না। তাই পরীক্ষার আশা একরকম ছেড়েই দিয়েছেন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ থাকার পরও এই দুই সরকারি কর্মকর্তা পরীক্ষা করাতে পারছেন না। তাদের মতো শত শত মানুষ এ অবস্থার শিকার। অনেকগুলো পরীক্ষাকেন্দ্র হওয়ার পরও কেন মানুষ পরীক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন না- এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আইইডিসিআরে প্রায় তিন হাজার নমুনা আটকে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ল্যাব কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তার সংস্পর্শে থাকা অন্যদেরও কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এ কারণে নমুনা পরীক্ষা আটকে আছে। বিষয়টি স্বীকার করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইইডিসিআরের এক কর্মকর্তা বলেন, নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিনশ’ ভিআইপি কল থাকে। ভিআইপি ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নমুনা সংগ্রহের জন্য কর্মীদের পাঠাতে হয়। একটু বিলম্ব হলেই তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে বসেন। আবার নমুনা সংগ্রহের দু-এক ঘণ্টা যেতে না যেতেই রেজাল্ট জানতে চেয়ে ফোন করেন। এসব কাজের জন্য যে ধরনের লোকবল প্রয়োজন, তা আইইডিসিআরের নেই। এই ভিআইপিদের সামলাতে গিয়ে সাধারণ মানুষের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষায় বিলম্ব হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।

আইইডিসিআরের বাইরে হাতেগোনা আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে নমুনা পরীক্ষার সুযোগ থাকলেও সেগুলোতে দীর্ঘ লাইন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন তিনশ’ করে মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর বিপরীতে নমুনা পরীক্ষার জন্য জড়ো হন কয়েক হাজার মানুষ। যদিও পরীক্ষা করতে যাওয়া সবাই করোনা পজিটিভ নয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত রোগীদের যে তথ্য জানানো হয়, তা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, যে পরিমাণ নমুনা পরীক্ষা করা হয়, সেগুলোর মধ্যে ১০ শতাংশ কিংবা তার কিছু বেশি মানুষের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়। পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে নমুনা দিতে জড়ো হওয়া হাজার হাজার মানুষের কেউই নির্দিষ্ট দূরত্ব মানছেন না। গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে নমুনা দেওয়ার কারণেও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার ফলে আক্রান্ত নন, এমন ব্যক্তিও সংক্রমিত হতে পারেন। নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে এভাবেই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করেন সংশ্নিষ্টরা।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের দিনে আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ মানুষের নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা আছে। কিন্তু পরীক্ষার জন্য হাজার হাজার মানুষ জড়ো হচ্ছেন। তারা নির্দিষ্ট দূরত্বের প্রটোকল মানছেন না। গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের মধ্যে কে সুস্থ আর কে আক্রান্ত তা পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত জানা যাচ্ছে না। এতে করে সুস্থ ব্যক্তি আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গিয়ে সংক্রমিত হতে পারেন। আবার ওই ব্যক্তির মাধ্যমে তার পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী থেকে ধাপে ধাপে রোগটি অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে। সুতরাং নমুনা সংগ্রহের সুনির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। অন্যথায় ঝুঁকি আরও বাড়বে।

নমুনা পরীক্ষার নামে ভোগান্তির :গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা টেস্টিং সেন্টারে দেখা যায়, নমুনা পরীক্ষার জন্য শত শত মানুষের ভিড়। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও বারডেম হাসপাতালের মাঝখানে এই সেন্টারটি অবস্থিত। নমুনা পরীক্ষার লাইন ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল ছাড়িয়ে রমনা পার্কের গেট পর্যন্ত পৌঁছেছে। শত শত মানুষ অপেক্ষা করছেন। একদিকে পুলিশ, মাঝখানে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী এবং অপর সারিতে সাধারণ মানুষ অপেক্ষমাণ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে নমুনা না দিতে পেরে কেউ কেউ ফিরেও যাচ্ছেন। আবার দীর্ঘ লাইন দেখে কেউ কেউ প্রধান ফটক থেকেই ফিরে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ মানুষই সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। পরস্পরের গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছেন।
প্রায় দুই ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও নমুনা দিতে পারেননি মীরহাজারিবাগের বাসিন্দা জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন, তার সামনে অন্তত একশ’ মানুষের সিরিয়াল রয়েছে। এতে করে আরও অন্তত তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এ অবস্থায় নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে না। তাই তিনি চলে যাচ্ছেন। তার পাশে থাকা রাজারবাগের বাসিন্দা ফয়সাল ইকবাল জানান, পরপর তিন দিন তিনি নমুনা পরীক্ষার জন্য এসেছেন। কিন্তু সিরিয়াল মিলছে না। গত বুধবার সারাদিন অপেক্ষা করেছিলেন। কিন্তু শেষ সময়ে জানানো হয়, নির্ধারিত তিনশ’ মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়ে গেছে, আর নমুনা নেওয়া হবে না। তাকে পরদিন আসতে বলা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার এসেও তিনি নমুনা দিতে পারেননি।

নাখালপাড়ার বাসিন্দা সাখাওয়াত হোসেন একটি গণমাধ্যমে কাজ করেন। কয়েকদিন আগের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘ লাইনের কারণে তাকেও সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ, চিকিৎসক, নার্স ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য আলাদা একটি লাইন আছে। তিনি সেটিতে দাঁড়িয়েছিলেন। নির্ধারিত তিনশ’ নমুনা সংগ্রহের পরও তারা প্রায় ১০ জনের মতো ছিলেন। সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন চিকিৎসকও ছিলেন। তাদের অনুরোধে ওই ১০ জনের নমুনা নেওয়া হয়। তার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ূয়া বলেন, নমুনা পরীক্ষার জন্য তাদের প্রতিষ্ঠানে চাপ অনেক বেশি। লক্ষণ-উপসর্গ নেই এমন ব্যক্তিরাও পরীক্ষার জন্য ভিড় করেন। এতে লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। ফলে যাদের লক্ষণ, উপসর্গ আছে- তারা অনেক সময় পরীক্ষা করাতে পারছেন না। সার্বক্ষণিক সতর্কতার পরও ভিড় সামলাতে পারছেন না।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সামনেও একইরকম উপচে পড়া ভিড়। সেখানকার এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বারবার মাইকিং করা হয়। কিন্তু নমুনা পরীক্ষা করতে আসা মানুষ তা আমলে নিচ্ছেন না। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে তারা নমুনা পরীক্ষার কাজটি করছেন। কিন্তু মানুষ সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। বারবার বলার পরও তারা গাদাগাদি করে লাইনে অবস্থান করেন।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, শনিবার থেকে তাদের প্রতিষ্ঠানে নমুনা পরীক্ষা শুরু হবে। এ জন্য তারা কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ার আলোচিত কিয়স্ক মডেল ব্যবহার করে তারা নমুনা সংগ্রহ করবেন। এই মডেল ভারতের কেরালা রাজ্যেও ব্যবহার করা হচ্ছে।

নমুনা পরীক্ষার বিকল্প ভাবনা : কিয়স্ক মডেলের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহকে অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত উল্লেখ করে ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, কিয়স্কগুলো কাচের তৈরি একটি বাক্সের মতো। এর ভেতরে থাকবেন স্বাস্থ্যকর্মী, যিনি নমুনা সংগ্রহ করবেন। কিয়স্কের মধ্য দিয়ে বাইরে হাত বের করার মতো দুটি ছিদ্র থাকবে। সেখান দিয়ে স্বাস্থ্যকর্মী পরীক্ষার জন্য আসা ব্যক্তির লালারস সংগ্রহ করবেন। স্বাস্থ্যকর্মীর শরীর পুরোপুরি ভেতরে থাকবে। প্রত্যেক রোগীর নমুনা সংগ্রহের পর স্বাস্থ্যকর্মীর গ্লাভস থেকে শুরু করে কিয়স্কের সামনের টেবিল, চেয়ার, যেখানে বসে রোগী নমুনা দেবেন তা জীবাণুমুক্ত করা হবে। এতে স্বাস্থ্যকর্মীর পিপিইর প্রয়োজন হবে না।

রোগী ও চিকিৎসকদের ঝুঁকি এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত করোনা সন্দেহভাজন রোগী বাছাই প্রক্রিয়া (ট্রায়াজ) অনুসরণেরও পরামর্শ দেন এই ভাইরোলজিস্ট। তিনি বলেন, ট্রায়াজ শব্দের অর্থ পৃথক করা বা বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা। কোনো রোগীকে লক্ষণ অনুযায়ী পৃথক করে চিকিৎসা দেওয়া হলে তাদের মাধ্যমে সংক্রমণের সংখ্যা অনেকাংশে কমে যায়। জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট এসব উপসর্গ নিয়ে কেউ এলে তাদের কোথায় যেতে হবে সে সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া থাকে। এমনকি এ ধরনের রোগীকে টিকিট কাউন্টারেও যেতে দেওয়া হবে না। আক্রান্ত রোগীকে যাতে অন্য রোগীদের সংস্পর্শে যেতে না হয় তার সব ব্যবস্থাই রয়েছে।

আইইডিসিআরের ল্যাব কর্মকর্তা আক্রান্ত, আটকে আছে নমুনা পরীক্ষা : আইইডিসিআরের ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. তাহমিনা বেগমের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির আরও অন্তত আট কর্মীর শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপরই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরাসহ অন্যরা কোয়ারেন্টাইনে চলে যান। বর্তমানে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাশে পর্যটন করপোরেশনের একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছেন। ল্যাবপ্রধান আক্রান্ত হওয়ায় নতুন করে প্রতিষ্ঠানটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তার সংস্পর্শে থাকা অন্যদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এতে করে ওই ল্যাবে থাকা তিন হাজারের মতো নমুনার পরীক্ষা আটকে আছে। পুলিশের এক সদস্য জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগে নমুনা দিয়েছিলেন, কিন্তু ফলাফল পাননি। আইইডিসিআরকে বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও সাড়া পাচ্ছেন না। এতে তিনি বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন। এক চিকিৎসক জানান, তিনিও চার দিন আগে নমুনা দিয়েছেন। কিন্তু রেজাল্ট পাননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইইডিসিআরের এক কর্মকর্তা জানান, আইইডিসিআর ল্যাবের এক কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন। তার সংস্পর্শে থাকা অন্যদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এর পরপরই ওই ল্যাবটি জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ওই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিছু নমুনা এখনও পরীক্ষা করা হয়নি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেগুলো পরীক্ষা করে রেজাল্ট জানিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য কোনো রোগী গেলে এবং ওই রোগী করোনা সন্দেহভাজন হওয়ার কারণে ভর্তি করা সম্ভব না হলে তাকে অপেক্ষমাণ রাখতে হবে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের চারটি ফোন নম্বরের যে কোনো একটিতে যোগাযোগ করে ওই রোগীর চিকিৎসা অথবা ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ নিতে হবে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেই ওই রোগীর চিকিৎসা বা ভর্তির বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

Pin It