বিশ্ব জুড়ে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। ঘরে-বাইরে দুই জায়গা থেকেই যে কেউ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে বাইরে বের হলে যেমন সতর্ক থাকা প্রয়োজন, তেমনি ঘরও পরিষ্কার রাখা জরুরি। এ কারণে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিজের পোশাক, জুতা থেকে শুরু করে টেবিল-চেয়ার, দরজা-আলমারির হাতল এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। পাশপাশি ঘরের অতি প্রয়োজনীয় ফ্রিজটাও পরিষ্কার করতে হবে।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবাইলোজির বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, কম আর্দ্রতা এবং ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের কম তাপমাত্রায় করোনাভাইরাস আরও সতেজ হয়ে ওঠে। ঠিক যে তাপমাত্রা ফ্রিজের ভিতরে থাকে। এ কারণে নিয়মিত ফ্রিজ পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন তারা। করোনা এড়াতে ফ্রিজে খাবার রাখা এবং পরিষ্কারের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন-
১. দোকান বা বাজার থেকে খাবার কিনে আনলে তা আগে খুবই ভালো করে জীবাণুমুক্ত করা উচিত। ফ্রিজে যে প্যাকেগুলো রাখবেন সেগুলো জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে নিতে পারেন।
২. খাবারে প্যাকেট জীবাণুমুক্ত করার জন্য অ্যালকোহল যুক্ত কোনও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। না হলে সাধারণ সাবান পানি দিয়েই সেগুলো পরিষ্কার রাখতে পারেন। এছাড়া পানির মধ্যে ব্লিচিং পাউডার মিশিয়েও একটা মিশ্রণ তৈরি করতে পারেন।
৩. যেই জীবাণুনাশই ব্যবহার করুন না কেন প্রথমে একটা শুকনো তোয়ালে তাতে ভিজিয়ে নিন।এবার ফ্রিজে যে খাবারের বাক্স বা প্যাকেটগুলি রাখবেন খুব ভালো করে সেগুলিকে ওই তোয়ালে দিয়ে বেশ ভালো করে কয়েকবার পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষ করে খাবার প্যাকেটের নিচে পরিষ্কার রাখা বেশি জরুরি।
৪. বাজার থেকে আনার পর কমপক্ষে ২০-৩০ সেকেন্ড ফল এবং শাকসবজিগুলি পানির কল চালিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। তারপর সেগুলো শুকিয়ে ফ্রিজে ভরুন।
৫. ফ্রিজে কোনো ক্যান বা বোতল থাকলে সেগুলোও নিয়িমিত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
৬. নিয়ম করে ফ্রিজের কন্টেনারগুলি জীবাণুনাশক ব্যবহার করে পরিষ্কার রাখতে হবে।
৭. প্রতিবার ফ্রিজ পরিষ্কারের আগে ও পরে হাত ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।