সামনের দিনগুলোতে করোনাভাইরাসের দুর্যোগ সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে দলের নেতাকর্মীদের মানসিক প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সকালে সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক তিনি বলেন, “বর্তমানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থা ৩৭তম। সামনে আরও কঠিন সময় আসছে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
“এই চ্যালেঞ্জিং সময় আমাদের সাহসিকতার সাথে অতিক্রম করতে হবে। তাই এই দুর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য আমি আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের মানসিক প্রস্তুতি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।”
জনগণের জন্য যা করণীয় প্রধানমন্ত্রী তাই করে যাচ্ছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজ এই মহামারী মোকাবেলায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে ধৈর্য, কর্মনিষ্ঠা, প্রজ্ঞা, সাহসিকতা ও দায়িত্বশীলতার সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে।
“যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগসহ আমাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কৃষকের ধান কেটে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়ার কর্মসূচি পালন করেছে অত্যন্ত সার্থকভাবে। এসব কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে ইফতার-সেহেরি, বিনামূল্য খাদ্যসামগ্রী ও সবজি বিতরণ এবং ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, টেলিমেডিসিন সেবা, দাফনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম নেত্রীর নির্দেশে আমাদের নেতাকর্মীরা অব্যাহত রেখেছে।”
২০০৭ সালে সভানেত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার দিনটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজ ৭ মে, ২০০৭ সালের এই দিনে শত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকণ্যা শেখ হাসিনা। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিল, তিনি যেন দেশে ফিরে না আসেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকণ্যা অসীম সাহসের সাথে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ফিরে আসেন দেশের মাটিতে।
“তখনকার সরকার নেত্রী ফিরে আসার দিনও নতুন করে মামলা দিয়ে ওয়ারেন্ট জারি করেছিল। তিনি যেন ফিরে না আসতে পারে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোকে টিকেট না দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করেছিল। কিন্তু যার শরীরে বঙ্গবন্ধুর রক্ত, যার প্রাণ প্রবাহে দেশপ্রেম, তাকে বাধা দিয়ে রাখতে পারেনি।”