নিরাপদে বসে ত্রাণ নিয়ে উপহাস করছেন মন্ত্রীরা: রিজভী

rizvi-130520-01

সরকারের মন্ত্রীরা নিরাপদ স্থানে বসে থেকে বিএনপির ত্রাণ কর্মকাণ্ড নিয়ে উপহাস করছেন বলে মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব একথা বলেন।

তিনি বলেন, “জাতির এই সংকটময় মুহূর্তে জনগণের দল হিসেবে বিএনপি বসে নাই। ‘সতর্কতা-সহায়তা-মানবিকতা’- এই চেতনায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহ্বানে সারাদেশে চলছে বিএনপির মানবিক সহায়তা কর্মসূচি।

“আমরা ত্রাণ দিচ্ছি আমাদের সাধ্যমতো। সেখানে চাল-ডাল-আলু-তেল-পেয়াজ রয়েছে। করোনা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কও আমরা বিতরণ করছি। তবে জনবিচ্ছিন্ন এই সরকার  বিএনপির এই ইতিবাচক কাজ সহ্য করতে পারছে না। নিরাপদ স্থানে বসে গণমাধ্যমে সরকারের মন্ত্রী ও তাদের নেতারা বিএনপির মহতি উদ্যোগের বিরুদ্ধে উপহাস ও তাচ্ছিল্য করে যাচ্ছেন।”

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দুস্থদের জন্য দলীয় ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচিতে বাধা পাওয়ার অভিযোগ তুলেন রিজভী।

তিনি বলেন, “কোথাও কোথাও আমাদেরকে যেমন ত্রাণ বিতরণে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তেমনিভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।”

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার লাভের পর থেকে দেশের স্বাস্থ্য সেবা ভেঙে পড়েছে। এর উপর লকডাউন’ শিথিল করা হয়েছে।

“সরকার বণিকদের সাথে আপোষ করতেই শিথিল করেছে লকডাউন। এতে করোনা বিস্তারের পথ আরো প্রশস্ত করা হলো।”

করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থাপনার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “একদিকে যেমন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালগুলোতে ঠিকভাবে সেবা দিতে পারছে না। অন্যদিকে অন্যান্য জটিলতার রোগীরাও চিকিৎসা পেতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে।

“এই ভয়াবহ দুর্দিনেও ক্ষমতাসীনরা দেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছে। কিছু বন্ধ কিছু খোলা, এই বন্ধ এই খোলা, সিদ্ধান্তহীনতা ও ঘন ঘন সিদ্ধান্ত বদলের অস্থিরতা, আয়হীন মানুষের হাতে খাদ্য ও বাঁচার উপকরণগুলো পৌঁছাতে ব্যর্থতা, ছুটি না লকডাউন তা নিয়ে ধোঁয়াশা- এসবের কারণে মানুষের বাইরে আসা। আর এই বাইরে আসার জন্য সরকারের সব ব্যর্থতার দায় জনগণের ওপর চাপাবার চালাকি করা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি।”

করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ বলে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, “করোনাভাইরাসে গোটা দেশ এখন বিপর্যস্ত। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ আর মৃত্যুর হার। মাত্র দুই মাসেই ‘এশিয়ার হটস্পটে’ পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।

“আমরা এক অচিন্তনীয় দুর্দিন পার করছি। মানুষের প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে এক অজানা ভয় আর আতঙ্কে। একদিকে মরণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয় অপরদিকে বেশুমার পরিবারে খাদ্যভাব, চলছে নিরব দুর্ভিক্ষ।”

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইন্টারনেটে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

Pin It