খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জমান প্রয়াত

96740524_10223126114411110_6351383575601872896_n
জাতীয় অধ্যাপক ডক্টর আনিসুজ্জামান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি প্রয়াত হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইমেরিটাস অধ্যাপকের ছেলে আনন্দজামান তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শারীরিক অবস্থার হঠাৎ করে দ্রুত অবনতি হলে করোনারি কেয়ার ইউনিট থেকে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার কিছু সময় পরেই মারা যান তিনি।
গত ২৭ এপ্রিল গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে ঢাকার মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় পরে প্রয়াত অধ্যাপককে গত শনিবার সিএমএইচে স্থানান্তরিত করা হয়। হার্টের সমস্যার পাশাপাশি ৮৩ বছরের এই অধ্যাপক কিডনি, ফুসফুস ও শ্বাসযন্ত্রের জটিলতায় ভুগছিলেন।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের শারীরিক অবস্থার অবনতি

prof-anisuzzaman-samakal-5ebd153374a5e

বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের অবস্থার অবনতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের ছেলে আনন্দ জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিকেলে দেওয়া স্ট্যাটাসে আনন্দ জামান লিখেছেন, ‘হঠাৎ করেই আজ আব্বার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। সকাল থেকেই জ্বর ছিল। এখন বুকে ব্যথা অনুভব করছেন। চিকিৎসকরা তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার সেন্টারে (সিসিসি) স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’

গত ২৭ এপ্রিল হৃদরোগ সমস্যার পাশাপাশি কিডনি ও ফুসফুসে জটিলতা, পারকিনসন্স, প্রোস্টেটের সমস্যা ও রক্তে সংক্রমণের সমস্যা নিয়ে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে রাজধানীর ইউনিভার্সেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চিফ কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক খন্দকার কামরুল ইসলামের অধীনে করোনারি কেয়ার ইউনিটে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এরপর গত শনিবার অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানেই সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।

অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এর আগে ফুসফুসের সংক্রমণসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তারও আগে দেশের বাইরে গিয়ে কয়েকবার চিকিৎসা নেন তিনি।

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ভারত ভাগের পর তার পরিবার এপার বাংলায় চলে আসে। তিনি ছয় দশকেরও বেশি সময় শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে জড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার আগে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। ভাষা আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনসহ পরবর্তী প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোত জড়িত ছিলেন। এছাড়া ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব আনিসুজ্জামানের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।

Pin It