রাজশাহী অঞ্চলে আমপাড়ার আইনি বাধা শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। আজ দিবাগত রাতেই শুরু হবে আমপাড়া। আগামীকাল শুক্রবার বাজারে নামছে রাজশাহীর আম। ইতিমধ্যে বাগান মালিক ও আড়তদাররা আমপাড়া ও কেনাবেচার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তবে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজশাহীর বানেশ্বর আমের আড়তে বিভিন্ন অঞ্চলের ক্রেতাদের আগমন শুরুই হয়নি। এ কারণে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা এবার আমের ন্যায্য মূল্যে নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এদিকে অপরিপক্ক আমে বিষাক্ত বা ফরমালিন কার্বাইড ব্যবহার প্রতিরোধে বাগান ও আড়তে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে স্থানীয় প্রশাসন।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের শুরুতে জেলা প্রশাসক স্থানীয় বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের কয়েকটি ধাপে আম ক্রয়-বিক্রয়ের নিদের্শনা দেন। সে মোতাবেক ১৫ মে থেকে আর্টি (গুটি) জাতীয় আমপাড়া ও বাজারজাত শুরু হচ্ছে। অবশ্য সুস্বাদু গোপালভোগ জাতের আম বাজারে আসবে আগামী ২০ মে থেকে। একই নিয়মে রাণীপ্রসাদ ও লক্ষণভোগ ২৫ মে, হিমসাগর বা খিরসাপাত ২৮ মে, ল্যাংড়া ৬ জুন, আম্রপালি ও ফজলি ১৫ জুন ও আশ্বিনা আমপাড়া ও বাজারজাত শুরু হবে ১০ জুলাই থেকে। বৃহস্পতিবার রাজশাহীর সর্ববৃহৎ আমের মোকাম বানেশ্বর বাজার ঘুরে দেখা যায়, আম ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন ছোট বড় আড়াতে শেষ মুহুর্তে ধোয়ামোছার কাজ চলছে। আবার কয়েকটি স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে অস্থায়ী আড়ত। এসব আমের আড়তে মৌসুম প্রায় দেড় হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়।
স্থানীয় আড়তদার রাজু আহম্মেদ বলেন, প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী শুক্রবার সকাল থেকে রাজশাহী জেলায় আমপাড়া ও কেনাবেচা শুরু হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় বিগত বছরের তুলনায় এবার বেশির ভাগ বাগানে প্রচুর আম ধরেছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমের তেমন চাহিদা পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুসারে কোন আম কখন পাড়তে হবে তার একটি দিক নির্দেশনা ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেওয়া হয়েছে। আম আড়তে সার্বক্ষণিক প্রশাসনের মনিটরিং থাকবে। এছাড়া কোথাও কোনো অনিয়মের খবর পেলে তাৎক্ষনিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।