অদিতি আইনগতভাবে স্ত্রী না থাকলেও সে আমার সন্তানের মা: অপূর্ব

image-152688-1589836810

লকডাউনের মধ্যে শোবিজ পাড়ায় ভাঙনের সুর। জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও তার স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতি তাদের ৯ বছরের সংসারের ইতি টেনেছেন সম্প্রতি। অপূর্বের স্ত্রী অদিতি বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন।

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘অপূর্ব একজন আদর্শ বাবা, প্রেমময় ভাই, দায়িত্বশীল পুত্র এবং একজন ভালো মানুষ। তিনি মিলিয়ন ফ্যানদের কাছে একজন সুপার ট্যালেন্টেড ব্যক্তি, এটা তিনি নিজেই অর্জন করেছেন। আমার মনে হয়, তিনি সেখানেই সবচেয়ে যোগ্য। ফলে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নয়, দয়া করে তার অসাধারণ কাজগুলো নিয়ে তাকে বিচার করুন।’ নিজেদের একসঙ্গে না থাকতে পারা প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘তিনি আমাকে জীবনের সেরা উপহার দিয়েছেন, তা হলো আমার ছেলে আয়াশ। দুর্ভাগ্যক্রমে অসংখ্য কারণে একসঙ্গে থাকছি না আমরা। তবে আমি সবসময় তার সুখী ও সমৃদ্ধ জীবন কামনা করছি।’

অদিতি আরও বলেন, ‘দয়া করে বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের ওপর আমাদের কাউকে বিচার করবেন না। আপনারা সবাই আমাদের সুখে-দুঃখে সবসময় ভালোবেসেছেন, সমর্থন দিয়েছেন। আমরা আশা করি, তা অব্যাহত থাকবে।’

বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এরইমধ্যে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে। যা নিয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে বলেছেন অপূর্ব।

তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গসিপ করা এবং তীর্যক, মিথ্যা বানোয়াট মন্তব্য করে কষ্ট বাড়িয়ে দেওয়ার মতো খারাপ কাজ থেকে সবাই বিরত থাকবেন। এর মধ্যে রসালো কোনো গল্প তৈরি করে সংবাদ করার চেষ্টা করবেন না, প্লিজ।’

অপূর্ব আরও বলেন, ‘অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি এবং আমার স্ত্রী অদিতি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ সমাধানের মধ্য দিয়ে আমাদের সম্পর্কের আইনগতভাবে ইতি টেনেছি। কোনো সংবাদমাধ্যম এই ব্যাপারটাতে তৃতীয় কাউকে জড়িয়ে কোনো ধরনের ভুল সংবাদ প্রকাশ করলে আমি তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্টে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। অলরেডি প্রকাশিত কিছু সংবাদের লিঙ্ক আমি সংগ্রহ করেছি। এখানে আরও উল্লেখ্য, আমি অদিতিকে সম্মান করি এবং আজীবন করবো। সুতরাং কোনোভাবেই অদিতিকে অসম্মান করে তার পাশে অন্য কারও নাম আমি সহ্য করবো না। ভুলে যাবেন না অদিতি আইনগতভাবে স্ত্রী না থাকলেও সে আমার সন্তানের মা।’

Pin It