বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরীক্ষার দাবি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক।
অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ, সুইনবার্ন এবং আরএমআইটি ইউনিভার্সিটির গবেষকদের দলটি সেকেন্ডে ৪৪.২ টেরাবিট ডেটা স্থানান্তর গতি পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
ইন্টারনেটের এই গতিতে এক সেকেন্ডের কম সময়ে এক হাজারের বেশি এইচডি সিনেমা ডাউনলোড করতে পারবেন গ্রাহক।
অফকমের তথ্যমতে, যুক্তরাজ্যের ব্রডব্যান্ডের গড় গতি সেকেন্ডে ৬৪ মেগাবিট, যা সাম্প্রতিক এই গবেষণায় পাওয়া ফলাফলের তুলনায় অতি নগণ্য।
এই গবেষণাকে “অসাধারণ সাফল্য হিসেবে” ব্যাখ্যা করেছেন সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডেভিড মস।
ইন্টারনেটের গতির র্যাংকিংয়ে মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর দেশটির গ্রাহকদের নিয়মিত অভিযোগ ধীর গতির সংযোগ।
গবেষকরা বলছেন, বর্তমান টেলিযোগাযোগ হার্ডওয়্যারে ব্যবহৃত হয় এমন ৮০টি লেজারের বদলে শুধু একটি ডিভাইসের মাধ্যমে এই গতি পাওয়া গেছে। এই যন্ত্রাংশটির নাম বলা হচ্ছে ‘মাইক্রো-কম্ব’।
অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের (এনবিএন) মতোই বর্তমান কাঠামোতে ল্যাবের ভেতরে এবং বাইরে মাইক্রো-কম্ব বসিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে গবেষক দলটি।
“ব্যান্ডউয়িডথের জন্য বিশ্বের বাড়তি চাহিদা পূরণে মাইক্রো-কম্ব একটি দারুণ প্রতিশ্রুতি,” বলেন মস।
ভবিষ্যতের ইন্টারনেট সংযোগ কেমন হতে পারে তারই একটি ধারণা পাওয়া যেতে পারে অস্ট্রেলিয়ান এই দলটির গবেষণা থেকে।